এখন যে আধুনিক চার লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, তার মূল কাঠামো ষোড়শ শতকে নির্মিত ঐতিহাসিক গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড। তখন রাজধানী সোনারগাঁওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল এই মহাসড়ক। কালে কালে নানা বিবর্তনে, সেই গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডই এখন দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক।
Advertisement
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ এই মহাসড়ক। এই মহাসড়ক আসলে আমাদের অর্থনীতির প্রাণভোমরা। আমদানি-রপ্তানি পণ্যের অনেকটাই এই পথ ধরে যায় আসে, বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোনো বিকল্প নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গতি মানেই অর্থনীতির চাকায় গতি। অর্থনীতির লাইফলাইন হলো এই মহাসড়ক। মহাসড়ক চার লেন হলেও দুই লেনের তিনটি সেতুতে এসে আটকে যাচ্ছিল সব গতি। চট্টগ্রাম থেকে শা করে প্রায় উড়ে আসা গাড়ি আটকে যাচ্ছিল দাউদকান্দি এসে। অবশ্য দাউদকান্দি পর্যন্ত যেতে পারতেন না অনেকেই। কখনো কখনো যানজট ইলিয়টগঞ্জ, গৌরিপুর বা শহীদনগর পর্যন্ত বিস্তৃত হতো।
এরই যে লিখলাম শহীদনগর। এখানেই আমাদের গ্রামের বাড়ি, আমার ছেলেবেলা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে আমার নিজের অনেক আবেগ জড়িত। আসলে বলা ভালো, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হলো আমার বাড়ির উঠান। মহাসড়কের সবচেয়ে কাছের বাড়িটিই আমাদের। আমার ছেলেবেলার অনেকটা দখল করে রেখেছে এই মহাসড়ক। ছেলেবেলায় আমরা বাড়িতে বসে গাড়ি গোনা খেলতাম। ঢাকার দিক থেকে আসা গাড়ি আমার, চট্টগ্রাম থেকে আসা গাড়ি আমার প্রতিদ্বন্দ্বীর- এই ছিল আমাদের প্রিয় খেলা। আমাদের বাড়ির পাশে প্রাইমারি স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলতাম। ছেলেবেলায় আমাদের কত ফুটবল যে এই মহাসড়কে গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়েছে, তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
আমার দেখায় অন্তত দুইবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সম্প্রসারণের জন্য আমাদের পৈত্রিক ভিটার বেশ কিছু অংশ অধিগ্রহণ করা হয়েছে। তাতেও যদি অর্থনীতিতে গতি আসে আমার আপত্তি নেই। লিখে রেখো এক ফোটা দিলেম শিশিরের মত। আমাদের বাড়ির অবস্থান একটা চমৎকার স্থানে। বাড়ির পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি ব্রিজ ছিল, এখনও আছে। সেই ব্রিজও আমাদের বেড়ানোর জায়গা।
Advertisement
গ্রীষ্মের গভীর রাতে আমরা বন্ধুরা সেই সেতু এলাকায় হাঁটতে যেতাম সেতুর পাশের জলাশয় (কেন জানি না, আমরা বলতাম কুড়) থেকে আসা ভেজা বাতাসে গা জুড়াতে। বর্ষায় এই সেতুর ওপর থেকে প্রবল স্রোতে ঝাঁপ দিতাম। তারপর স্রোতের টানে বহুদূর ভেসে যেতাম। আবার সাঁতরে ফিরে আসতাম, আবার লাফ দিতাম। এই ছিল আমাদের দুপুরের গোসল। সেতুতে বসে বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে ধরতে অনেক বিকাল সন্ধ্যায় মিলিয়ে যেতো। এই সেতুর পাশেই ছিল মাইলস্টোন। এক পাশে লেখা ঠিল ঢাকা ৩৩ মাইল, অপর পাশে লেখা ছিল কুমিল্লা ৩৩ মাইল। তার মানে ঢাকা-কুমিল্লার ঠিক মাঝখানে ছিল আমাদের বাড়ি। এখনও তাই আছে। তবে এখন দূরত্ব ৫৩ কিলোমিটার। তবে মাইলস্টোন পর্যন্তই দেখেছি, কিলোমিটার স্টোন আর দেখিনি। আছে হয় তো কোথাও।
ঢাকা-কুমিল্লার মাঝখানে হলেও আমাদের বাড়ি থেকে কুমিল্লা যতটা কাছে, ঢাকা ততটাই দূর। কারণ ঢাকা যেতে পাড়ি দিতে হতো তিনটি ফেরি। প্রথমে দাউদকান্দি, তারপর মেঘনা, তারপর কাঁচপুর। এখন যেটা ৪০ মিনিটের ড্রাইভ, সত্তরের দশকে সেটা ছিল সারাদিনের প্রস্তুতি। ১৯৭৬ সালে কিডনির অসুখ নেফ্রাইটিসে আমি প্রায় মরতে বসেছিলাম। তখন ঢাকায় আসা সহজ তো ছিলই না। আর আমার মত একজন মুমূর্ষুকে নিয়ে আসা ছিল প্রায় অসম্ভব। তবে এলাকার এক ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত ব্যবহারের সুযোগে সেবার ঢাকা আসতে পেরেছিলাম এবং বলতে দ্বিধা নেই নতুন জীবন পেয়েছিলাম।
এই যে তিনটি ফেরির কথা বললাম, যাতে ঢাকা আসতে আমাদের দিন পেরিয়ে যেতো। বড়দের কাছে হয়তো বিরক্তিকর। কিন্তু ছেলেবেলায় আমাদের কাছে ফেরি মানেই ছিল অনাবিল আনন্দ আর হরেকরকম খাওয়া। তিনটি ফেরি মানেই তিনটি বিরতি। নদীর খোলা হাওয়ায় চুল উড়িয়ে পেরিয়ে যাওয়া। নদীর প্রতি আমার যে গভীর প্রেম, তার অন্যতম উৎস ফেরিতে চড়ে অত কাছ থেকে নদী দেখার সুযোগ। আর ফেরি মানেই যেন ছিল হরেকরকম খাবারের সমাহার। মুড়ি, চানাচুর, বিস্কুট, সেদ্ধ ডিম, খিরা, আপেল, কমলা, পেয়ারা, ডিম-পরোটা _ খাওয়ার তালিকা অনেক লম্বা।
শীতলক্ষ্যাকে অবশ্য বেশি দিন কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাইনি। ৭৭ সালেই কাঁচপুর ব্রিজ হয়ে যায়। ঢাকা যেতে একটা ফেরি কমে গেল ভেবে আমাদের মন খারাপ হলেও মুরুব্বীদের মুখে দেখেছি আনন্দের ঝিলিক। শিশুদের আনন্দ বজায় ছিল নব্বই দশক পর্যন্ত। অবশ্য ততদিনে আমরাও বুঝে গেছি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফেরি নামের দু দুটো বিষ ফোড়া রেখে দেশের অর্থনীতি চলতে পারে না। তাই তো ৯১ সালে মেঘনা এবং ৯৫ সালে মেঘনা-গোমতী সেতুও হয়ে গেল। আর চিরতরে হারিয়ে গেল আমাদের ফেরি চড়ার আনন্দ।
Advertisement
৭৭ সালের কথা মনে নেই। তবে খুব স্পষ্ট মনে আছে, নব্বই দশকে দুটি সেতু কী অসাধারণ আনন্দের উপলক্ষ্য হয়েছিল আমাদের এলাকার মানুষের জন্য। নির্মাণ প্রক্রিয়া থেকে এই সেতু দুটি ছিল সবার আগ্রহের কেন্দ্রে। তিনটি সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা-কুমিল্লা দূরত্ব হলো সর্বোচ্চ দুই ঘণ্টা। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা সবারই দূরদৃষ্টিতে সমস্যা আছে। কাছের জিনিস ভালোই দেখি, দূরের জিনিস একদমই না। তাই নব্বইয়ের দশকে মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতী সেতু বানানোর সময়ও আমরা ২০ বছর পরের চিত্রটা দেখিনি। তাই তো সব সেতু চালু হওয়ার পর যখন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চাপ বাড়লো, আবার যানজট বাড়লো, ফেরি না থাকলেও সময় সেই ফেরির মতই লাগছে।
আমরা টের পেলাম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটি দুই লেন রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য চলবে না। তাই ঢাকা-চট্টগ্রাস মহাসড়ক চার লেন হলো। তাতে শুরুতে দারুণ আরাম। চার ঘণ্টাতেই ঢাকা-চট্টগ্রাম, দেড় ঘণ্টায় ঢাকা-কুমিল্লা আর ৪৫ মিনিটে আমাদের গ্রামের বাড়ি। কিন্তু এ সুখ বড্ড ক্ষণস্থায়ী। চার লেনের মহাসড়কে দুই লেনের তিনটি সেতুতে তৈরি হতো 'বোতল নেক'। তাতেই সব আনন্দ মাটি। মহাসড়ক চার লেন হওয়ার পরও ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাত্রা ছিল দেশের সবচেয়ে অনিশ্চিত গন্তব্য।
রওয়ানা দেয়ার সময় ঠিক আছে, পৌঁছানোর সময়ের কোনো গ্যারান্টি নেই। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ৮ থেকে ১৪ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় লাগতো। এবার সেতু তিনটিও চারলেনে বদলে দেয়া হলো। ফিরে এলো সেই দিন- চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম। গত সপ্তাহে সেতু তিনটি উদ্বোধনের দুদিন পর ক্যাবল অপারেটরদের ইফতার মাহফিলে চট্টগ্রাম থেকে আসা কয়েকজন ক্যাবল অপারেটরের সাথে কথা হচ্ছিল। তারা বলছিলেন, গত দশ বছরে এই প্রথম বাই রোডে ঢাকা এলাম। মাত্র চার ঘণ্টা লেগেছে। বলার সময় তাদের চোখে যে আনন্দের আভা দেখেছি, তার কোনো তুলনা নেই।
আমার বিস্ময় লেগেছে অন্যখানে। এখন পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের যত আগ্রহ, নব্বইয়ের দশকে মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু নির্মাণের সময় আমাদের এলাকার মানুষের আগ্রহ তারচেয়ে কম ছিল না। কিন্তু এবার তিন তিনটি বিকল্প সেতু হয়ে গেল অনেকটাই নীরবে। জ্যামের ভয়ে অনেকদিন ওদিকে যাওয়া হয়নি। আমি জানতামই না তিনটি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। উদ্বোধনের কয়েকদিন আগে নিউজ সূত্রে টের পেয়ে নিজেকে বেশ বোকা বোকা লাগলো। আর অবাক হলাম সরকারের সক্ষমতায়।
আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কোনো একটা জয় পেলে মধ্যরাতে থালাবাটি নিয়ে বিজয় মিছিল বেরুতো। আর এখন ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতলেও ফেসবুকে 'অভিনন্দন টাইগার্স' লিখে ঘুমের আয়োজন করি। ক্রিকেটের মত আমাদের অর্থনীতির সক্ষমতাও বেড়েছে। আগে হলে যে কোনো একটি সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়া নিয়েও দিনের পর দিন নিউজ হতো। আর এখন সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকায় তিনটি সেতু হয়ে যায় সবার সামনে, কিন্তু নিভৃতে। তাও আবার নির্ধারিত সময়ের আগে কাজ শেষ, বেঁচে গেছে অন্তত এক হাজার কোটি টাকা। অবিশ্বাস্য!
অবিশ্বাস্য!! যে দেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্টাফদের কোয়ার্টারে একটি বালিশ কিনে তুলতে প্রায় আট হাজার টাকা খরচ হয়, সেখানে এক হাজার কোটি টাকা কম খরচ করা আসলেই অবিশ্বাস্য। ঈদের ছুটিতে মানুষ গ্রামের বাড়ি যায় নাড়ির টানে, প্রিয়জনদের সঙ্গে আনন্দে সময়টা কাটাতে, ফেলে আসা শৈশবকে খুঁজে নিতে। প্রত্যেক ঈদেই লাখ লাখ মানুষ ঢাকার কারাগার ছেড়ে অনেক ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি যান এবং ফেরেন। কিন্তু এবার অন্তত সড়ক পথে ভোগান্তি অনেক কম হবে, এমনটা বলে দেয়াই যায়। সরকারের নেয়া বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ফল এবার পাবে মানুষ। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যানজট কমাতে কদিন আগেই উদ্বোধন হয়েছে ভুলতা ফ্লাইওভার। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তিনটি সেতু উত্বোধনের দিনেই প্রধানমন্ত্রী দূর করেছেন উত্তরবঙ্গের মানুষের দুঃখ। এবার আর কাউকে চন্দ্রা বা কোনাবাড়ি মোড়ে আটকে থাকতে হবে না। নতুন ফ্লাইওভারে উড়ে চলে যাবেন।
পদ্মা সেতুকে ঘিড়ে ঢাকা-মাওয়া সড়কও বদলে গেছে। বাকি আছে, খালি ঢাকা-সয়মনসিংহ মহাসড়ক। তবে এই মহাসড়কটিও চার লেন হয়ে গেছে। জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত সড়ক নয়, যেন রানওয়ে। কিন্তু এই মহাসড়কেও একটা বোতল নেক আছে। অবশ্য ‘বোতল নেক’ না বলে একে ‘নরক নেক’ বলাই ভালো। টঙ্গী থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তা যেন রাস্তা নয়, নরকের চৌরাস্তা। বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ এখন যে মানের তাতে টঙ্গী-জয়দেবপুর রাস্তাটি বড্ড বেমানান। এ যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার। সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি না হয় নোয়াখালী, কিন্তু তিনি তো সারাদেশের মন্ত্রী। ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি যাওয়ার পথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বদলে যাওয়ায় সে এলাকার মানুষ যতটা খুশি হয়েছে, টঙ্গী-জয়দেবপুর চৌরাস্তার অংশটুকু ঠিক করে দিলে গাজীপুর, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুরের মানুষও তার জন্য দোয়া করবে।
যানজটের ভয়ে অনেকদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাওয়া হয় না। ছেলেবেলার স্মৃতি বলে নয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এমনিতেও আমার খুব প্রিয়। দাউদকান্দির পর থেকে দুই পাশে প্রশস্ত রাস্তা আর মাঝখানে যেন স্বর্গীয় উদ্যান। দ্রুতগামী গাড়ির বাতাসে মাঝখানের ফুলন্ত গাছগুলো যখন তার বর্ণাঢ্য রূপ নিয়ে দুলতে থাকে; আমার মনে হয়, এটা যেন বাংলাদেশ নয়; সত্যিই স্বর্গের দৃশ্য। ছেলেবেলায় দেখা সেই অপরিসর গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোডকে বড্ড অচেনা লাগে। মানুষের নাকি চাওয়ার কোনো শেষ নাই। আমিও মানুষ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এখন গাড়ি চলবে দ্রুতগতিতে। কিন্তু এই মহাসড়ক সব গতির যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত। মানুষ তো পার হয়ই, অনায়াসে গরু-ছাগলও মহাসড়ক পেরোয় দুলকি চালে।
এই মহাসড়কে মাঝে মাঝেই বাজার রয়েছে। তাই গাড়ির গতি প্রায়শই বাধাগ্রস্ত হয়, দুর্ঘটনা বাড়ে। জানি না, কদিন এই মহাসড়কের মহাআনন্দ আমাদের সইবে। আমার কল্পনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেস হাইওয়ের ডিজাইন দেখি। যাতে একবারও না থেমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে আড়াই ঘণ্টায়। আমার স্বপ্নপূরণের জন্য নয়, দেশের অর্থনীতিতে আরো প্রাণচাঞ্চল্য আনতে একদিন দেশে এই এক্সপ্রেস হাইওয়ে করতে হবে। ততদিন বাঁচলেই হয়।
এইচআর/এমকেএইচ