ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নৌপথে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। সদরঘাটে যাত্রীদের চাপ তেমন বাড়েনি। তবে মানুষের কিছুটা ভিড় আছে।
Advertisement
শুক্রবার সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। টিকিট বিক্রেতাদের মতে, আজ সন্ধ্যা বা রাত নাগাদ চাপ বাড়তে পারে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সদরঘাটে চাঁদপুর টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ কিছুটা রয়েছে। ঢাকা থেকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ৯টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমে যায় চাঁদপুর টার্মিনালে।
চাঁদপুরগামী লঞ্চের যাত্রী আমিন আহমেদ জানান, কোনো বাড়তি ভাড়া নেয়া হচ্ছে না। ভাড়া আগের মতোই। সিঙ্গেল কেবিন ৫০০, ডাবল কেবিন ৭০০ টাকা নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
চাঁদপুরগামী ময়ূর লঞ্চের টিকিট বিক্রেতা মুসা জানান, যাত্রীদের চাপ এখন কিছুটা কম। যাত্রী হলেই আমরা লঞ্চ ছাড়ব। ভাড়া আগের মতোই।
সদরঘাটে চাঁদপুর টার্মিনালের দায়িত্বে থাকা বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা হেদায়েত উল্লাহ জানান, চাঁদপুরের উদ্দেশে ইতোমধ্যে ৯টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আরও লঞ্চ ঘাটে রয়েছে। যাত্রী পরিপূর্ণ হলেই লঞ্চগুলো ছেড়ে যাবে।
অতিরিক্ত যাত্রী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এমন কোনো অভিযোগ পাইনি। আমাদের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে, অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে লঞ্চে উঠতে দেব না।
ঠিক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে বরিশাল টার্মিনালে। অনেকটাই ফাঁকা ছিল সদরঘাটের বরিশাল টার্মিনাল। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরিশালের উদ্দেশে ঢাকা থেকে মাত্র ৩টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
Advertisement
বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বরিশাল রুটে তিনটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘ধারণক্ষমতার চেয়ে বাড়তি যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ছাড়তে দেব না, এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।’
জানা গেছে, ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার ৪৩টি নৌ রুটে ২১৫টি লঞ্চ প্রস্তুত রয়েছে। প্রয়োজনে বিশেষ সার্ভিস দেয়ার জন্যও তারা প্রস্তুত। প্রয়োজন মতো লঞ্চ চালু রাখা হবে।
বরিশালগামী লঞ্চের যাত্রী, বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, টানা ছুটি পেয়েছি। ঈদের আগে আর অফিস করব না। গতকাল অফিস থেকে আগামী সোমবারের জন্য ছুটি নিয়েছি। লঞ্চে ভিড় না থাকায় আজ বাড়ি যাচ্ছি।
এইউএ/জেডএ/এমকেএইচ