কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আরও এক ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছেন। এ সময় লক্ষাধিক পিস ইয়াবা ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে অভিযানকারীরা।
Advertisement
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে টেকনাফ সদরের নাফনদীর সীমানার গফুর প্রজেক্ট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সাল হাসান খান বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে টেকনাফের গফুরের প্রজেক্ট এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচার হচ্ছে এমন খবরে টেকনাফ বিওপির বিশেষ টহলদল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। টহল দল দূর থেকে একটি কাঠের নৌকা নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে। নৌকাটি নদীর কিনারায় আসার সঙ্গে সঙ্গে টহলদল চ্যালেঞ্জ করলে সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা গুলি ছুড়তে থাকে।
পাশাপাশি ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়েও আক্রমণ করে। এ সময় বিজিবি আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৮-১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ থামার পর টহলদলের সদস্যরা এলাকা তল্লাশি করে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। নৌকাটি তল্লাশি করে এক লাখ দশ হাজার পিস ইয়াবা ও ঘটনাস্থল থেকে ১টি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় বিজিবি টহল দলের ল্যান্স নায়েক মো. জাহিরুল ইসলাম ও সিপাহী মো. জাব্বিরুল আহত হন।
মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, একই রাতে টেকনাফ স্থলবন্দর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার হাজী সাইফুল করিম নিহত হয়েছেন। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/এমএস
Advertisement