যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে সান দিয়াগো শহরের হাসপাতালে জন্ম নেয়া কন্যা শিশুটি এখনো বেঁচে আছে। মাত্র ২৩ সপ্তাহে জন্ম নেয়া শিশুটির জন্মের সময় ওজন ছিল মাত্র ২৪৫ গ্রাম বা আনুমানিক ৮.৬ আউন্স। চিকিৎসকরা বলছেন, বিশ্বের ক্ষুদ্রতম জীবিত এই শিশুটিকে বাড়ি পাঠানো হচ্ছে।
Advertisement
ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শিশুটির নাম সেবি। গত পাঁচ মাস ধরে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে থাকার পর শিশুটিকে বাড়ি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। শিশুটির ওজন এখন প্রায় ২ কেজি।
সান দিয়াগোর শার্প ম্যারি বার্চ হাসপাতাল ফর উইমেন অ্যান্ড নিউবর্ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শিশুটি এখন সুস্থ আছে। তাকে বাড়ি পাঠানো হবে। নবজাতকটির পরিবার এতদিন এই ঘটনা লুকিয়ে রাখলেও এখন সেটা প্রকাশ্যে জানানোর অনুমতি দিয়েছে। তবে নিজেদের পরিচয় গোপন রেখেছে তারা।
আরও পড়ুন > শাশুড়ির দেয়া কিডনিতে বাঁচলো বউয়ের জীবন
Advertisement
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের লোয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম শিশুর নিবন্ধনের কাজটি তদারকি করে। তাদের দেয়া র্যাংকিংয়ে সেবি নামের ওই কন্যা শিশুটিকে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম শিশু হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
লোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা, এডওয়ার্ড বেল বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে যত শিশুর নাম নিবন্ধন করা হয়েছে তাদের মধ্যে সেবি সবচেয়ে কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই তালিকায় শুধু তাদের নাম নিবন্ধন করা হয় যাদেরকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে ইতিবাচক ছাড়পত্র দেয়া হয়।’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ধারণ করা একটি ভিডিওতে শিশুটির মা তার সন্তান জন্ম নেয়ার সময় কী অবস্থায় ছিল তার বর্ণনা দিয়েছেন।
এসএ/জেআইএম
Advertisement