ঘরোয়া ক্রিকেটে তার ব্যাট যেন খাপছাড়া তলোয়ার। বিশেষ করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রানের ফুলঝুড়ি ছোটাতে পটু, কম যাননি প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটেও, ধারাবাহিকভাবে রান করে যান কয়েকটি মৌসুমে। সম্ভাবনা জেগেছিল ২০১৫ সালের বিশ্বকাপেই দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ওড়ার।
Advertisement
শেষ পর্যন্ত তা হয়নি, তবে সে বছরই নাম লিখিয়েছেন জাতীয় দলে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা তাকে উল্লেখ করেছেন দেশের অন্যতম সেরা ক্লাসিক ব্যাটসম্যান হিসেবে। লেগসাইডে কব্জির মোচড়ে খেলা ফ্লিক বা সুইপ কিংবা অফসাইডে দৃষ্টিনন্দন শটের মায়ায় সবাইকে মোহাবিস্ট করতেও সময় নেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস।
কিন্তু ক্যারিয়ারের শুরুর আগে যে আলোকচ্ছটা দেখা গিয়েছিল লিটনের ব্যাটে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ঠিক ততোটা আলো ছড়াতে পারেননি দিনাজপুরের ২৪ বছর বয়সী এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নাম লিখিয়েছেন ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পরপরই। ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে অভিষেক হয় তার।
এখনো পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ২৭টি ওয়ানডে। ১টি করে ফিফটি ও সেঞ্চুরিতে ৫০৮ রান করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। ব্যাটিং পরিসংখ্যান খুব ভালো না হলেও ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ফাইনালে ১২১ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলা লিটন এরই মধ্যে প্রমাণ করেছেন তার সামর্থ্য রয়েছে বড় কিছু করার। তাই সুযোগ পেয়ে গেছেন ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।
Advertisement
তবে বিশ্বকাপ দিয়ে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় জন্ম দিতে চান লিটন। তার মানে একজন ব্যাটসম্যানের জন্য ২২-২৫ গড় যে খুবই নগণ্য, তা বোঝেন তিনি নিজেও। তাই তো বিশ্বকাও খেলতে দেশ ছাড়ার আগে শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ারকে নতুনভাবে সাজানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন লিটন।
‘চার বছর জাতীয় দলে খেলছি, কোনোটিতেই আমার গড় ২৫ হয়নি। এত খারাপ ব্যাটসম্যান বোধ হয় আমি নই। এ বিশ্বকাপে এমন কিছু করতে চাই, যেখান থেকে আমার ক্যারিয়ার অন্য পর্যায়ে উঠে যাবে। বিশ্বকাপে যেকোনো খেলাতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ হওয়াটা হবে অনেক বড় প্রাপ্তি। এর পরও যেহেতু ইংল্যান্ডে খেলা, এশিয়ার বাইরের অন্য দেশের বিপক্ষে অমন পুরস্কার পেলে বেশি ভালো লাগবে। ভবিষ্যতের জন্য অনেক আত্মবিশ্বাস পাব’- বলছিলেন লিটন।
এসএএস/আইএইচএস/পিআর
Advertisement