প্রবাসীদের জন্য সুখবর আসছে বাজেটে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দেয়া হবে। প্রবাসীরা বছরে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাবেন তার ওপর ২ শতাংশ হারে এ সুবিধা দেয়া হবে। আগামী বাজেটে এ বিষয়ে ঘোষণা থাকছে। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
Advertisement
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বর্তমানে রফতানিযোগ্য বিভিন্ন পণ্যে একাধিক হারে প্রণোদনা দেয়া হয়। এর বাইরে প্রথমবারের মতো সেবাখাত হিসেবে প্রবাসী আয়ে একই সুবিধা দেয়া হবে। যারা বৈধ পথে তথা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাবেন, শুধু তারাই এ প্রণোদনা পাবেন।
মূলত ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোকে উৎসাহিত করতে প্রবাসীদের এ সুবিধা দেয়া হবে। সরকার আশা করছে, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি অর্থাৎ প্রবাসীদের জন্য এ সুবিধা কার্যকর হলে দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্সের পরিমাণ আরও বাড়বে।
Advertisement
বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে ব্যাংকগুলোর তৎপরতা বৃদ্ধি, ব্যাংকিং চ্যানেলের সঙ্গে অবৈধ চ্যানেলে ডলারের দরে খুব একটা পার্থক্য না থাকা এবং হুন্ডি প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন পদক্ষেপসহ নানা কারণে রেমিট্যান্স বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ১ হাজার ১৮৭ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ১১১ কোটি ডলার বা ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, এককভাবে গত মার্চে ১৫৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। আগের বছরের একই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩০ কোটি ডলার। গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩২ কোটি ডলার। এ হিসাবে আগের বছরের একই মাস বা আগের মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে।
গত মাসে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১০ কোটি ডলার। সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৪ কোটি ৭৭ লাখ এবং বিদেশি ব্যাংক এনেছে এক কোটি ২৪ লাখ ডলার।
Advertisement
এমইউএইচ/এমবিআর/জেআইএম