সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ৩১১ নম্বর রুমটিতে করা হয়েছে সার্ভার স্টেশন। এ সার্ভার রুমেই সংরক্ষিত থাকবে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত। তার পাশে ৩১০ নম্বর রুমটি ওয়ার্কিং স্টেশন। সেখান থেকে মনিটরিং করা হবে সার্ভার স্টেশন। তবে সেগুলোতে এখনও সংযোগ স্থাপন করা হয়নি।
Advertisement
সরেজমিনে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সার্ভার মেশিনসহ তার সঙ্গে যাবতীয় আনুসঙ্গিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। তবে সেগুলোতে এখনও সংযোগ দেয়া হয়নি।
যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার মোক্তার হোসেন বলেন, মেশিনটি চালু হওয়ার পর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের সব তথ্য এখানে সংরক্ষিত থাকবে। এখানকার সব অপারেশন, ল্যাবের পরীক্ষা, রেডিওলজি অ্যান্ড ইমোজিনসহ সব তথ্য এখানে রক্ষিত থাকবে। এখানে বসে চিকিৎসকরা বিশেষ প্রয়োজনে অনলাইনের মাধ্যমে দেশ বা দেশের বাইরের চিকিৎসকদের সঙ্গেও আলোচনা করে চিকিৎসার ব্যবস্থা বা পরামর্শ নিতে পারবেন। জাপান থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে মেশিনটি সেটিং ও সফটওয়্যার ইনস্টল করবেন। মেশিনের সঙ্গে আনুসঙ্গিক সকল যন্ত্রপাতিও রয়েছে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ শাহজাহান আলী জাগো নিউজকে বলেন, ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সার্ভার মেশিনটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল প্রদান করা হয় ১০ সেপ্টেম্বর। মেশিনটি সম্পূর্ণরূপে চালুর জন্য জাপান থেকে ইঞ্জিনিয়ার এসে সেটিং করবে। তবে তারা দু’বার আসার সময় পরিবর্তন করেছেন। সেজন্য মেশিনটি চালু হতে দেরি হচ্ছে। জাপান থেকে ইঞ্জিনিয়ার আগামী ১৫ জুন আসবে বলে নতুন দিনক্ষণ জানিয়েছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, জাপানের সেই ইঞ্জিনিয়ার সাতক্ষীরা মেডিকেল ও ঢাকা মেডিকেল এই দুই জায়গায় এসে কাজ করবেন। তারাই সফটওয়্যার ইনিস্টল করবেন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শেখ শাহজাহান আলী আরও জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল প্রদান করা হলেও মেশিনটি সম্পূর্ণরূপে চালু না হওয়া পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সাত কোটি টাকার সিকিউরিটি মানি রেখে দেয়া হয়।
আকরামুল ইসলাম/এফএ/এমএস