২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ, প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড
Advertisement
১৯৯৯ বিশ্বকাপে এডিনবরায় সেই ম্যাচের পর বিশ্বকাপে আর স্কটিশদের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ। ১৬ বছর পর নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ইউরোপিয়ান দেশটির মুখোমুখি হলো মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
১৯৯৯ সালে নিজেদের মাঠে বাংলাদেশের কাছে হারের সেই দগদগে স্মৃতি হয়তো তাদের মনে ঠাঁই করে নিয়েছিল। যে কারণে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩১৮ রানের বিশাল বড় একটি স্কোর বাংলাদেশের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয় স্কটল্যান্ড।
কিন্তু তাদের চেয়েও অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলেছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় ৩১৮ রানের সেই বিশাল পাহাড়ও টপকে যেতে পারলো টাইগাররা। ম্যাচ জিতে নিলো ৬ উইকেট ও ১১ বল হাতে রেখেই।
Advertisement
নেলসনের স্যক্সটন ওভালে টস জিতেছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজাই। তিনি ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান স্কটল্যান্ডকে। ব্যাট করতে এসে ওপেনার কাইল কোয়েৎতার যেন উইকেটের সঙ্গে সুপার গ্লু লাগিয়ে নিয়েছিলেন। কোনোভাবেই বাংলাদেশের বোলাররা পারলো না তাকে উইকেট থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি।
একপাশ আগলে রেখে ১৫৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেন কোয়েৎজার। ১৩৪ বলে তিনি মেরেছিলেন ১৭টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কার মার। মূলতঃ তার এই বিশাল ইনিংসের ওপর ভর করেই বাংলাদেশের সামনে ৮ উইকেটে ৩১৮ রানের বিশাল স্কোর দাঁড় করিয়ে দেয় স্কটিশরা।
কোয়েৎজার যখন আউট হন তখন স্কটল্যান্ডের রান ২৬৯। বাকি রানগুলো তুলে দেন প্রিস্টন মোমসেন (৩৯), ম্যাট ম্যাচান (৩৫)। বাংলাদেশের তাসকিন আহমেদ নেন ৩ উইকেট। নাসির হোসেন নেন ২ উইকেট।
জবাব দিতে নামার আগেই বাংলাদেশ দলের জন্য দুঃসংবাদ। ফিল্ডিং করতে গিয়ে কাঁধের ইনজুরিতে পড়ে মাঠে নামতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। তার পরিবর্তে ইনিংস ওপেন করেন সৌম্য সরকার। কিন্তু দলীয় ৫ রানের মাথায়, ব্যক্তিগত ২ রানে বিদায় নেন সৌম্য।
Advertisement
কিন্তু এরপর তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, সাকিব আর সাব্বির রহমানের অসাধারণ ব্যটিং দৃঢ়তায় সহজেই জয় তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। ১০০ বলে ৯৫ রান করে আউট হন তামিম। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দুরে থাকতে আউট হয়ে যান তিনি। তখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে তামিমের ওই ইনিংসটাই ছিল বাংলাদেশের হয়ে সেরা।
মাহমুদউল্লাহ করেন ৬২ বলে ৬২ রান। মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৪২ বলে ৬০ রান। ৪১ বলে অপরাজিত ৫২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন সাকিব আল হাসান এবং শেষ দিকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করেন সাব্বির রহমান। তিনি করেন ৪০ বলে অপরাজিত ৪২ রান।
৪৮.১ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচ জিততে না পারলেও স্কটল্যান্ডের কাইল কোয়েৎজার ১৫৬ রান করার সুবাধে জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
আইএইচএস/এমকেএইচ