জনগণের ঈদযাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সড়ক ও মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ, মলমপার্টি-অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
Advertisement
বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রতি বছর ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় বহুলোকের প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। ফলে অনেকের ঘরেই ঈদের খুশি হারিয়ে যায়। ঈদের আনন্দ যেন সবাই ভাগাভাগি করতে পারে, সেজন্য সরকারের উচিৎ সেই ব্যবস্থা নেয়া। উত্তরণ ঘটিয়ে সড়ককে নিরাপদ করার জন্য দীর্ঘগতি ও দ্রুতগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন চালু করতে সরকারের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিৎ।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ঈদের সময় সড়কে ছিনতাই, রাহাজানি, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির দৌরাত্মে সাধারণ যাত্রীরা নিঃস্ব হয়ে যায় ও এক শ্রেণীর দুর্নীতিবাজ পুলিশেরও চাঁদাবাজি বৃদ্ধি পায়। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় ও দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর জনগণের আস্থাও কমে যায়। এই সব বিষয়ে সরকারকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এবারের ঈদের লম্বা ছুটিতে সরকার পরিকল্পিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ভোগান্তি ও দুর্ঘটনামুক্ত নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করা সক্ষম হবে বলে মন্তব্য করে ন্যাপ নেতৃদ্বয় সরকারকে কিছু ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণের দাবি জানান। ব্যাবস্থাগুলো হলো- সড়ক-মহাসড়ক থেকে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নসিমন-করিমন, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ, মোটরসাইকেলে ঈদযাত্রা নিষিদ্ধ করা, সকল গার্মেন্টস ও অন্যান্য শিল্প কলকারখানার ছুটি একসঙ্গে না করে ভিন্ন ভিন্নভাবে করা, টোল প্লাজায় সবকটি বুথ চালু রাখা ও দ্রুত গাড়ি ব্রিজ পারের ব্যবস্থা করা, মহাসড়কের পাশে অস্থায়ী হাটবাজার নিয়ন্ত্রণ করা, দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পিডগান ব্যবহার ও উল্টোপথের গাড়ি চলাচল বন্ধ, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ দখল ও পার্কিংমুক্ত রাখা, ঈদের আগে ও পরে সড়কে যানবাহন থামিয়ে চাঁদাবাজি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা, লাইসেন্সবিহীন ও অদক্ষ চালকদের নিষিদ্ধ ও নিয়ন্ত্র করা, ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা, ফেরিঘাট, লঞ্চঘাট, নগরীর প্রবেশমুখ ও সড়কের গুরুত্বপূর্ণ ইন্টারসেকশনসমূহে দ্রুত গাড়ি পাসিংয়ের ব্যবস্থা করা, দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দ্রুত উদ্ধার আহতদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা, সড়কে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের ঈদের ছুটি বাতিল করা।
Advertisement
দ্রুত এ সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নেতৃদ্বয় সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রী, মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এখন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জোর দাবি জানিয়ে বলেন, প্রতি ঈদের ন্যায় এবার যেন সড়কে মৃত্যুর মিছিল না হয় এটা সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে।
কেএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম