সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরির (এনএফএসএল) প্রধান প্রফেসর ড. শাহনীলা ফেরদৌসির আজ (মঙ্গলবার) হাইকোর্টে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
Advertisement
বাজারের তরল দুধ পরীক্ষার প্রক্রিয়া কী ছিল তা জানাতে আদালতের নির্দেশে তিনি হাইকোর্টে উপস্থিত হবেন।
এর আগে গরুর দুধ ও দইয়ে অ্যান্টিবায়োটিক, কীটনাশক, অণুজীব ও সিসা রয়েছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানায় এনএফএসএল। সেই গবেষণার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের তৈরি করা প্রতিবেদন নিয়ে ফেরদৌসিকে আজ (২১ মে) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে হাজির হতে বলেছেন হাইকোর্ট।
গত বুধবার (১২ মে) শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
Advertisement
ওই দিন আদালতের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী একেএম মানিক এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) আর্থিক সহায়তায় গরুর দুধ, প্যাকেটজাত দুধ, দই ও গোখাদ্য নিয়ে এনএফএসএল ওই গবেষণা করে।
গবেষণায় বলা হয়, ঢাকাসহ চার জেলার ২৭ উপজেলা/থানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। গরুর দুধ সরাসরি খামার থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই খামার থেকেই খাবার সংগ্রহ করা হয়েছে। দই ঢাকা শহরের বিভিন্ন ব্র্যান্ড দোকান ও আশপাশের উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বাজারে প্রচলিত প্রায় সব ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত তরল দুধ এবং আমদানি করা প্যাকেটজাত দুধ বিভিন্ন সুপার স্টোর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো নির্দিষ্ট নিয়মে ল্যাবরেটরিতে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে ।
গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে জানানো হয়, ৬৯-১০০ শতাংশ গোখাদ্যে বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক- কীটনাশক (৯টি নমুনায়), সীসা (২২টি নমুনায়), ক্রোমিয়াম (১৬টি নমুনায়), টেট্রাসাইক্লিন (২২টি নমুনায়), এনরোফ্লোক্সাসিন (২৬টি নমুনায়), সিপ্রোসিন (৩০টি নমুনায়) এবং আফলাটক্সিন (১৯টি নমুনায়) গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রা পাওয়া যায়।
Advertisement
গরুর দুধের ৯৬টি নমুনার মধ্যে ৯ শতাংশ দুধে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কীটনাশক, ১৩ শতাংশে টেট্রাসাইক্লিন, ১৫ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি মাত্রায় সিসা পাওয়া যায়। ৯৬ শতাংশ দুধে মেলে বিভিন্ন অণুজীব।
প্যাকেটজাত দুধের ৩১টি নমুনায় ৩০ শতাংশে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি হারে আছে টেট্রাসাইক্লিন। একটি নমুনায় সিসা মিলেছে। একই সঙ্গে ৬৬-৮০ শতাংশ দুধের নমুনায় বিভিন্ন অণুজীব পাওয়া গেছে।
দইয়ের ৩৩টি নমুনা পরীক্ষা করে একটিতে সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা পাওয়া গেছে। আর ৫১ শতাংশ নমুনায় মিলেছে বিভিন্ন অণুজীব।
এফএইচ/এএইচ/জেআইএম