মতামত

রাজনীতির ক্যামোফ্লাজ ও জোটের ভবিষ্যৎ

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভরাডুবি’র পর মাত্র ৮ জন এমপি নিয়ে সংসদে যাওয়া- না যাওয়া ইস্যুতে বিএনপি ও তার জোটবদ্ধ দলগুলোর দোটানার আপাত অবসান হলেও এর বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে যা বেরিয়েছে, তার নাম ‘ভাঙন’। এরইমধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীও আগামী ৮ জুন পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়ে বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের অনেকেই জাতীয় সংসদে যাওয়ায় জোটের মধ্যে যে অসংগতি তৈরি হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে তা দূর না হলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ঐক্যফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাবে।

Advertisement

আর ২০ দলীয় জোট থেকে বিজেপির বেরিয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যায় দলের চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর হতে ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ক্রমশই স্থবির হয়ে পড়ে। বিরোধীদলীয় রাজনীতি অতিমাত্রায় ঐক্যফ্রন্টমুখী হওয়ায় ২০১৮ সালে ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের আগে এবং পরবর্তীতে সরকারের সঙ্গে সংলাপসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ২০ দলীয় জোটের বিএনপি ছাড়া অন্যকোনো দলের সম্পৃক্ততা ছিল না।

পরবর্তীতে প্রথমে ঐক্যফ্রন্টের দুজন এবং বিএনপির সম্মতিতে দলটির চারজনসহ মোট ৫ জন সংসদ সদস্য শপথ নেয়ায় দেশবাসীর মতো বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপিও অবাক এবং হতবাক।

এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠতেই পারে, ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্ট থেকে আরও কেউ কি বেরিয়ে যাবে বা বেরিয়ে গেলেও ভবিষ্যতে বিএনপির রাজনীতিতে, বিশেষ করে রাজপথে এবং নির্বাচনের মাঠে আওয়ামী লীগের শক্তির সাথে তারা কতটুকু পেরে উঠবে?

Advertisement

একাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপিসহ চারটি দলের সমন্বয়ে যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়, তাতে পরবর্তীকালে যোগ দেয় কাদের সিদ্দিকীর কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ। যদিও কাদের সিদ্দিকী নিজে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি। পক্ষান্তরে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটও ভোটের মাঠে ছিল। এই জোটে বিএনপির প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামির নিবন্ধন না থাকায় তাদের প্রার্থীরা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকেই নির্বাচন করেন এবং একজনও জয়ী হতে পারেননি।

বস্তুত ২০ দলীয় জোটে বিএনপি ছাড়া তাদের শরিক কোনো দলের একজনও জয়ী হননি। এমনকি এলডিপির অলি আহমদও। চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনটিকে দলীয় প্রতীকের ঊর্ধে ব্যক্তি অলি আহমেদের আসন বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনিও পরাজিত হন। মূলত নির্বাচনের এমন অবিশ্বাস্য ফলাফলের কারণেই বিএনপি অভূত কারচুপির অভিযোগ আনে এবং স্বভাবতই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে।

শুরু থেকেই ২০ দলীয় জোট এবং ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান খুব স্পষ্ট ছিল যে, তাদের যে ৮জন প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তারা শপথ নেবেন না। কিন্তু দলের এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রথম বিড়ালটি মারেন গণফোরামের সুলতান মনসুর। তিনি শপথ নেন এবং যথারীতি দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও দল থেকে বহিষ্কৃত হলেও তাতে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয় না। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো দলের প্রার্থী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর কেউ যদি ওই দল থেকে পদত্যাগ করেন, তাহলে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে। অন্যথায় নয়। ফলে সুলতান মনসুর গণফোরাম থেকে বহিষ্কৃত হলেও তাতে তার এমপি পদের কোনো নড়চড় নেই।

সুলতান মনসুরের দেখানো পথেই হাঁটেন গণফোরামের অপর সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান। তিনিও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেন। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা তো দূরে থাক, এই ঘটনার পরে গণফোরামের যে বিশেষ কাউন্সিল হয়, সেখানে তিনি দলের প্রধান ড. কামালের পাশে মঞ্চেই উপবিষ্ট ছিলেন। এ নিয়ে দলের ভেতরে অসন্তোষ প্রকাশ্য হয় এবং প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক দলীয় প্রধান ড. কামাল হোসেনের আচরণকে স্ববিরোধী উল্লেখ করে কাউন্সিল থেকে বেরিয়ে যান।

Advertisement

মূল নাটক তখনও মঞ্চায়নের অপেক্ষায়। পয়লা পর্দা সরান ঠাকুরগাঁও থেকে নির্বাচিত বিএনপির এমপি জাহিদুর রহমান। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তিনিও গণফোরামের দুই এমপির পদাঙ্কানুসরণ করে শপথ নেন এবং সংসদে যোগ দেন। যথারীতি তাকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এরপর নাটকের বিরতি এবং মূল সাসপেন্স তখনও বাকি। দৃশ্যপটে আসেন বিএনপির নির্বাচিত অপর চার সংসদ সদস্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উকিল আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া ও বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেনও শপথ নেন। যদিও বাইরে থাকেন দল ও জোটের একমাত্র হাইপ্রোফাইল এমপি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি শপথ না নিলেও দলীয় এমপিদের শপথ গ্রহণকে রাজনীতিতে চমক এবং কৌশল বলে অভিহিত করেন। শুধু তাই নয়, এই শপথের সিদ্ধান্ত খোদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তরফে আবির্ভূত বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তাদের যুক্তি, দাবি আদায়ে সংসদে এবং সংসদের বাইরে তাদের আন্দোলন চলবে। যদি তাই হয় তাহলে মি. ইসলাম নিজে কেন শপথ নিলেন না? এটি কোন কৌশলের অংশ সেটি অবশ্য তিনি বা তার দল এখনও পরিষ্কার করেনি।

এ ব্যাপাারে দ্বিমতের সুযোগ কম যে, বিএনপির ভেতরে সমন্বয়ের যথেষ্ট অভাব রয়েছে যা সাধারণ মানুষ, দলের কর্মী এমনকি নেতাদেরও বিভ্রান্ত করছে। খোদ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, সবাই পার্লামেন্টে গেলেও মহাসচিবের না যাওয়াটা তার কাছেও খটকা লেগেছে।

বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ৬ এমপির শপথ নিয়ে এই যে অস্পষ্টতা বা ক্যামোফ্লাজ তারই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জোটের তিন নেতা। প্রথমে প্রতিক্রিয়া দেন ঐক্যফ্রন্টের শরিক নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি স্পষ্টতই জানিয়ে দেন যে, বিএনপির এমপিরা যে শপথ নেবেন সেটি জোটের ভেতরে আলোচিত হয়নি বা সিনিয়র নেতাদের সাথে এ বিষয়ে কোনো শলাপরামর্শও করা হয়নি। দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়া হিসেবে ২০ দলীয় জোট থেকে বেরিয়ে যান আন্দালিভ রহমান পার্থ। তৃতীয় প্রতিক্রিয়াটি আসে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা এবং ঐক্যফ্রন্টের শরিক কাদের সিদ্দিকীর তরফে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ কী?

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, গণফোরামের দুজন এমপি শপথ নেয়ার পরে জোটের রাজনীতিতে প্রশ্নের মুখে পড়ে তারা। কিন্তু খোদ বিএনপির এমপিরাই যখন শপথ নিয়ে বসেন তখন তারা নির্ভার হয়। কেননা যদি বেঈমান বলতেই হয়, তাহলে আগে বিএনপিকেই সেই গালিটা হজম করতে হবে। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বিষয়টা স্পষ্ট করেছেন এভাবে যে, গণফোরামের অবস্থান ছিল সংসদে গেলে সবাই একসঙ্গে যাবে। না গেলে কেউ না। যে কারণে তাদের দুজন এমপির শপথের বিষয়টি ‘গলার কাঁটা’ হয়েছিল। কিন্তু বিএনপির এমপিরা শপথ নেয়ায় হয় সেই কাঁটাটা বের হয়ে গেছে নয়তো ভেতরে চলে গেছে।

তবে শপথ ইস্যুতে মূল ক্ষোভটা সম্ভবত যারা এমপি হতে পারেননি তাদের। অন্তত যেসব ডাকসাইটে নেতা বরাবরই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন যেমন মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ নোয়াখালী-লক্ষীপুর অঞ্চলের বিএনপি নেতৃবৃন্দ, এলডিপির অলি আহমেদ, বিজেপির আন্দালিভ রহমান পার্থ— তারাও যখন পরাজিত হয়ে গেলেন, তখন একাদশ সংসদকে বৈধতা দেয়ার জন্য তারা শপথ নেবেন না বা নিতে চাইবেন না এবং জোটের কেউই যাতে শপথ না নেন, সেই চেষ্টা করবেন, তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। কিন্তু এই বিস্ময়ের ঘোর ঠিকই তৈরি হয় যখন ঐক্যফ্রন্টের ৭ জন এমপি শপথ নিয়ে সংসদে বসে গেলেন। তাহলে জোটের ভবিষ্যৎ কী?

অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিএনপির এমপিরা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ বা গ্রিন সিগন্যালেই শপথ নিয়েছেন। অথবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আন্দাজ করতে পেরেছেন যে, মির্জা ফখরুল ছাড়া বিএনপির বাকি ৬ জনই শপথ নেবেন। তখন জাহিদুর রহমানের ধারাবাহিকতায় তাদেরও দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে, যা আখেরে দল হিসেবে বিএনপিকে কোনো সুবিধা দেবে না। ফলে বিদ্রোহ ঠেকাতে এবং এমপিদেওর নিজের ‘গ্রিপে রাখতে’ লন্ডন থেকে দলীয় এমপিদের শপথ গ্রহণের গ্রিন সিগন্যাল দেন তারেক রহমান। কিন্তু তাতে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ সম্পর্কের রসায়ন কী হবে?

অনেকেই মনে করেন, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টে এ যাত্রায় হয়তো বড় ধরনের ভাঙন হবে না। বরং রাজনীতির এই ভাঙাগড়া বেশি হয় জাতীয় নির্বাচনের আগে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনের ‘ট্রমা’ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বিএনপি ও তার শরিকরা। বরং সেই ট্রমায় নতুন যুক্ত হয়েছে এমপিদের শপথ ইস্যুতে সৃষ্ট ক্যামোফ্লাজ। ফলে এখন তাদের আত্মসমালোচনাটাই বেশি জরুরি। আওয়ামী লীগের মতো শক্তিশালী দলের কৌশলের কাছে তারা যে বারবার হেরে যাচ্ছে এবং পাল্টা কৌশল নিতে ব্যর্থ হচ্ছে বা নিজেদের দাবি আদায়ে বৃহত্তর জনঅংশগ্রহণে যে তারা সক্ষম হচ্ছে না, সেই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে।

বিএনপি আদৌ এ মুহূর্তে নিজেদের নীতি ঠিক করতে পারছে কি না বা দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেই ঐক্য আছে কি না, তা নিয়ে দলের নেতাকর্মী তো বটেই, সাধারণ মানুষের মনেও সংশয় আছে। ফলে যেকোনো ইস্যুতে তারা অবস্থান পরিষ্কার করতে না পারলে ভবিষ্যতে তাদের জোটের রাজনীতি তো বটেই, নিজেদের অস্তিত্বও বিপন্ন হবে।

২০ দলীয় জোট থাকার পরও নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মতো আরেকটি নতুন জোট কেন তাদের প্রয়োজন হলো, বিএনপি সেই ব্যাখ্যা পরিষ্কার করে দেয়নি। বরং এই ঘটনা যে ২০ দলীয় জোটের সাথে তাদের দূরত্ব বাড়িয়েছে, তা পরিষ্কার। এখন কি তারা এই সংকটকালে দুটি জোটকে একীভূত করে নতুন কোনো প্লাটফর্ম গড়ে তোলার কথা ভাবছে?

বিএনপির সামনে তারও চেয়ে বড় প্রশ্ন, যখন দলের চেয়ারপারসন কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাসনে, তখন দলকে পরিচালনা করবেন? দল কি এখনও সুদূর লন্ডন থেকে পরিচালিত হবে? তাতে যে আখেরে খুব একটা লাভ হচ্ছে না বিএনপি নিশ্চয়ই তা উপলব্ধি করতে পারছে। ২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাকের ভাষ্য, ‘বিএনপির কথাবার্তায় মিল নেই। তারা একটি সিদ্ধান্ত নেয়, আর লন্ডন থেকে ওহি নাজিল হলে সব পাল্টে যায়।’ ফলে বিএনপির সামনে এখন এটিও একটি বড় প্রশ্ন যে, তারা লন্ডনের ওহির ওপর নির্ভর করে দল চালাবে নাকি নেতৃত্ব নিয়ে নতুন করে ভাববে?

তবে ২০ দলীয় জোট বা ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎ কী, সে বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত মন্তব্য করা না গেলেও এটা ঠিক যে, বিজেপি, কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ বা এরকম অপেক্ষাকৃত ছোট দলগুলো জোট থেকে বেরিয়ে গেলে বরং তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। কেননা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতি যেভাবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিনির্ভর, তাতে জোটের বাইরে গিয়ে এককভাবে অন্য দলগুলোর খুব একটা সুবিধা করা তথা নির্বাচনে বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ফলে প্রশ্ন উঠবে, বিএপির জোট থেকে বেরিয়ে গিয়ে দলগুলো কি ক্ষমতাসীনদের সাথে জোট করবে নাকি নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করবে? বিএনপি-আওয়ামী লীগের বাইরে গিয়ে জাতীয় পার্টির এইচ এম এরশাদ তার নেতৃত্বে একটি জোট গঠন করেছিলেন। দলের সংখ্যাও কম ছিল না। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি।

লেখক : বার্তা সম্পাদক, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।

এইচআর/জেআইএম