আন্তর্জাতিক

‘মানুষকে ইচ্ছেমতো মদ, ধূমপান ও মাংস খেতে দেয়া উচিত’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়েও মানুষ যতটা চায় ততটা মদ্যপান, ধূমপান এবং মাংস খেতে দেয়ার পরামর্শ দিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন নরওয়ের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সিলভি লিসথাগ। নতুন এই মন্ত্রী শুরুতেই এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন; কারণ তিনি বলেছেন মানুষকে যতটা সে পারে ততটা খেতে, ধূমপান ও মদ্যপান করতে দেয়া উচিত।

Advertisement

লিসথাগ বলেছেন, ধূমপায়ীদের এমন অনুভূতি দেয়া হয়েছে যেন তারা বহিরাগত। অভিবাসনবিরোধী হিসেবে পরিচিত এই রাজনীতিক দেশটিতে বেশ জনপ্রিয়।

শুক্রবার তিনি নরওয়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। অবশ্য তার সমালোচনাও আছে অনেক। সমালোচকরা বলেন, জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে তার খুব বেশি ধারণা নেই।

অবশ্য সোমবার দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য নিয়ে তিনি সোজাসাপ্টা ভাবেন। আমি কোনো নৈতিক পুলিশ হতে চাই না এবং জনগণকে বলতে চাই না কীভাবে তাদের জীবন-যাপন করা উচিত। কিন্তু আমি জনগণকে সহায়তা করতে চাই আরো তথ্য পেতে যাতে করে সে তার পছন্দ চূড়ান্ত করতে পারে।

Advertisement

তিনি বলেন, জনগণ যতটা চায় ততটা তাদের ধূমপান ও ড্রিংক করতে এবং রেড মিট বা লাল মাংস খেতে দেয়া উচিত। কর্তৃপক্ষ হয়তো তাদের জানাতে চায়, কিন্তু মানুষ নিজেই জানে যে কোনটা তাদের জন্য স্বাস্থ্যসম্মত আর কোনটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়।

নিজেও আগে ধূমপায়ী ছিলেন তিনি। তার মতে, ধূমপায়ীদের বিরুদ্ধে এমন একটি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে যে মনে হচ্ছে তারা বহিরাগত।

আমি মনে করি অনেক ধূমপায়ীই নিজেদের বহিরাগত মনে করে। তারা অধিকাংশই মনে করে তাদের গোপনেই থাকা উচিত। যদিও ধূমপান ভালো নয়; কারণ এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু তারপরও প্রাপ্তবয়স্কদেরই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা কি চায়।

তিনি বলেন, সরকার শুধু তথ্য দিয়ে মানুষকে সহায়তা করতে পারে। এজন্য একটি টোব্যাকো নীতিমালা থাকা উচিত, যেটা তরুণদের ধূমপানে উৎসাহিত করতে বাধা দেবে। দেশটিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এসব মন্তব্য নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে।

Advertisement

নরওয়ের ক্যান্সার সোসাইটির সেক্রেটারি জেনারেল বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মন্তব্যগুলো জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

লিসথাগের জন্য অবশ্য বিতর্কিত মন্তব্য নতুন কোনো বিষয় নয়। এর আগে গত বছরই তিনি পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিলেন তার একটি বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে। বিবিসি বাংলা।

এসআইএস/জেআইএম