রুদ্রাক্ষের মালা হাজার বছর ধরে হিন্দু সম্প্রদায়, বৌদ্ধ ভিক্ষু এবং বাউলদের ব্যবহার করতে দেখা যায়। কিন্তু এর উৎপত্তি বা ক্রমবিকাশ সম্পর্কে অনেকেই হয়তো জানি না। আসুন জেনে নেই রুদ্রাক্ষের আদি-অন্ত। বিস্তারিত জানাচ্ছেন মঞ্জুর মোর্শেদ রুমন-
Advertisement
রুদ্রাক্ষ শব্দটি সংস্কৃত ভাষার। যার অর্থ রুদ্রের চোখ বা শিবের চোখ। পৌরাণিক কাহিনি মতে, দুর্বিনীত অসুর ত্রিপুরকে বধ করতে গিয়ে শিব দীর্ঘকাল অপলক নেত্রে যুদ্ধ করেন। যে কারণে তার অবসাদগ্রস্ত চোখ থেকে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে এক ফোঁটা অশ্রু। সেই অশ্রুকণা থেকেই জন্ম হয় রুদ্রাক্ষের।
> আরও পড়ুন- বসন্তের উপকারী ফুল নয়নতারা
রুদ্রাক্ষ ফুল Elaeocarpaceae পরিবারের সদস্য। এর বৈজ্ঞানিক নাম Elaeocarpus ganitrus। রুদ্রাক্ষ গাছ দেখতে কিছুটা বকুল গাছের মতো। পরিপক্ক গাছের শেকড়ে ঝাউ-শিমুল-বুদ্ধনারিকেল গাছের মতো অধিমূল দেখা যায়। গাছের ফল দেখতে গাঢ় নীল রঙের। যে কারণে এর ইংরেজি নাম বলয়ে marble তরী বা বলয়ে berry beads।
Advertisement
রুদ্রাক্ষের ক্ষেত্রে মুখ সংখ্যা অতি গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষই দেখতে পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। তবে ১ থেকে শুরু করে ৩৮ মুখী পর্যন্ত রুদ্রাক্ষের সন্ধানও পাওয়া যায়। সহজলভ্য নয় বলে ১৪ থেকে ২১ মুখী রুদ্রাক্ষের মূল্যও বেশি।
> আরও পড়ুন- শীতে বাহারি রঙের জিনিয়া ফুল
যাবতীয় নানামুখী রুদ্রাক্ষের মধ্যে সবচেয়ে দুর্লভ বোধ হয় সুশ্রী এবং গোলাকার একমুখী রুদ্রাক্ষ। যা আজকাল অতিশয় দুর্লভ। শোনা যায়, ভারতের টাটা কোম্পানি ৭০ লাখ টাকা মূল্যের একটি একমুখী রুদ্রাক্ষ বংশ পরম্পরায় রক্ষা করে আসছে।
এসইউ/এমকেএইচ
Advertisement