নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী নাজমুন নাহার ঝুমুরকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়েছে বলে জবানবন্দি দিয়েছে ধর্ষক বাহার উদ্দিন (৩৫)।
Advertisement
সোমবার সকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এ ঘটনার বিবরণ দেয় বাহার। দুপুরে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হকের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় বাহার। গ্রেফতারকৃত বাহার উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের কবুতরের বাড়ির আজিজুল হকের ছেলে।
জবানবন্দিতে বাহার জানায়, যে খাল থেকে স্কুলছাত্রী নাজমুন নাহার ঝুমুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয় ঘটনার দিন সকালে সেই খালের মধ্যে মাছ ধরছিল বাহার উদ্দিন। ওই দিন সকালে ঝুমুর আম কুড়ানো শেষে খালের পাশ দিয়ে একা যাচ্ছিল। এ সময় ঝুমুরকে একা পেয়ে বাহার তার গতিরোধ করে বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ঝুমুর চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরে খালের মধ্যে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাহার।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে বাহারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে। আদালতে ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে বাহার। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর বাবা আব্দুল হানিফ মামলা করেছেন।
Advertisement
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ব্যাপক ঝড়ে বাড়ির আশপাশে প্রচুর আম পড়ে। শনিবার সকাল ৬টার দিকে দুই মামাতো বোনকে সঙ্গে নিয়ে ঝুমুর বাড়ির পাশে আম কুড়াতে যায়। কিছুক্ষণ পর দুই বোনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে ঝুমুর থেকে যায়। সকাল ৮টার দিকে প্রতিবেশী এক নারী বাড়ির পাশের খালপাড়ে গাছের ডাল তুলতে গিয়ে ঝুমুরকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেন। এ সময় বাড়ির লোকজন গিয়ে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ঝুমুরকে পানি থেকে তুলে নিয়ে আসেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খবর দেন। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নারী সদস্য এসে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
মিজানুর রহমান/এএম/পিআর