দীর্ঘ নয় মাস বা তারও কিছু বেশি সময় পরে একজন মা তার সন্তানের মুখটি প্রথমবারের মতো দেখতে পান। নানা অপেক্ষা ও উদ্বেগে পাড়ি দিতে হয় এই মাসগুলো। গর্ভাবস্থায় একজন নারীর শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। এসময়ে তাই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা জরুরি।
Advertisement
হরমোনজনিত কারণে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় স্বাদেরও পরিবর্তন হতে থাকে। তাই বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হয়। কিন্তু এসময়ে নিজের পছন্দমতো খাবার চাইলে খাওয়া যায় না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবারের তালিকা করতে পারলে ভালো হয়। এছাড়াও বেশকিছু খাবার রয়েছে যা এই সময় এড়িয়ে চলতে হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
আরও পড়ুন : যে ৫ অভ্যাস কমিয়ে দিচ্ছে আপনার আইকিউ
চিংড়িরেস্তোরাঁয় চিংড়ির কোনো পদ খাবেন না। স্বাদ ও গন্ধ বজায় রাখার জন্য অধিকাংশ দোকানে চিংড়ি ভালো করে রান্না করা হয় না। ভালো করে রান্না না করার ফলে বেশ কিছু ব্যাকটিরিয়া থেকে যায় যা থেকে পেটের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া চিংড়ি থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। তাই এই সময়ে চিংড়ি মাছ ও অন্যান্য সি-ফুড এড়িয়ে চলাই ভালো।
Advertisement
কাঁচা সবজিকাঁচা সবজিতে বিভিন্ন ধরনের পোকা ও পরজীবী থাকে, যা পেটে গেলে মা ও শিশু দু’জনেরই ক্ষতি হতে পারে।
কাটা ফলরাস্তায় কাটা ফল বিক্রি হয়। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই ফল না খাওয়াই ভালো কারণ এতে ব্যাকটিরিয়া থাকে।
অর্ধেক সেদ্ধ করা ডিমগর্ভবতী অবস্থায় অর্ধেক সেদ্ধ করা ডিম এড়িয়ে চলুন। এর থেকে মায়ের বিভিন্ন পেটের অসুখ হতে পারে। কেক, পুডিং জাতীয় যেসব খাবারে কাঁচা ডিম মেশানো হয়, সেগুলিও বাদ দিন।
অর্ধেক সেদ্ধ মাংসমাংস অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করতে হবে। রান্নার আগে মাংস ঠিক করে সেদ্ধ না হলে ব্যাকটিরিয়া জনিত কারণে পেটের অসুখ হতে পারে।
Advertisement
আরও পড়ুন : প্রেগন্যান্সির সময় ত্বকে সমস্যা? সমাধান জেনে নিন
আনারসগর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাস আনারস খাবেন না। এতে ব্রোমিলিন নামের উৎসেচক গর্ভপাত ঘটাতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রসবের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।
কাঁচা দুধ কাঁচা দুধ খাবেন না। ভালো করে ফুটিয়ে গরম দুধ খান।
এইচএন/এমএস