মহান মে দিবস আজ। রাজধানীসহ সারাদেশের কর্মজীবী মানুষ আজ ছুটি কাটাচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, আদালত, শিল্প কলকারখানা এমনকি খাবার হোটেল ও চায়ের স্টল পর্যন্ত বন্ধ। সে কারণে রাজধানীর রাস্তাঘাটগুলো যানবাহন ও জনশূন্য। দেখে মনে হচ্ছে ঈদের ছুটি।
Advertisement
রাজধানীর ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, বাটা মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, শাহবাগ, নিউমার্কেট ও মতিঝিল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তা-ঘাট একেবারেই ফাঁকা। এ সুযোগে অলস সময় কাটাচ্ছে ট্রাফিকরা। অনেক ছোট মোড়ে আজ ট্রাফিকই নেই।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আজহার আলী। বাড়ি সাভারে। প্রতিদিনই তিনি মতিঝিলে আসেন। সিকিউরিটির চাকরি করার কারণে আজও তাকে ডিউটি করতে হচ্ছে। আজহার আলী বলেন, প্রতিদিন সাভার থেকে মতিঝিলে আসতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগে। আজ মনে হলো আধা ঘন্টার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছি।
মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাব, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, জিপিওর সামনে, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ ও গুলিস্তানে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন আজ রাস্তায় নেমেছে। তাদের দাবি দাওয়া ও অধিকারের কথা তুলে ধরছে সরকার ও মালিক পক্ষের কাছে। শুধু তাই না, বিপুল উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে দিবসটি পালন করছে শ্রমিক সমাজ।
Advertisement
বিভিন্ন সংগঠন রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করেছে। র্যালিতে ট্রাক ও ঘোড়ার গাড়ি সাজিয়ে এবং ব্যান্ডপার্টির বাদ্যের তালে তালে নেচে গেয়ে হাজার হাজার শ্রমিক অংশ নেয় র্যালিতে।
উল্লেখ্য, ১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে ছয়জন শ্রমিক নিহত হয়। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছর দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
এফএইচএস/এমএসএইচ/এমকেএইচ
Advertisement