ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ওই মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীসহ অন্তত ৩০ জনের লিখিত সাক্ষ্য নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাদরাসার অফিস কক্ষে তাদের কাছ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
Advertisement
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, নুসরাত হত্যার ঘটনা তদন্তে ও দ্রুত চার্জশিট দিতে কাজ করছে পিবিআই। সোমবার সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার কেন্দ্র সচিব মাওলানা নূরুল আফছার ফারুকী, অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ হোসাইন, সাবেক বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর শেখ আবদুল হালিম মামুন, মাদরাসার কর্মচারী নুরুল আমিন, নিহত নুসরাতের সহপাঠী নিশাত ও ফূর্তিসহ অন্তত ৩০ জনের কাছ থেকে মৌখিক ও লিখিত সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
কেন্দ্র সচিব মাওলানা নূরুল আফছার ফারুকী বলেন, পিবিআই নুসরাত হত্যাকাণ্ড ও সিরাজ উদ দৌলা সম্পর্কে মৌখিক ও লিখিতভাবে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে। ঘটনার দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকা বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। তবে ঠিক কতজনের কাছ থেকে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।
পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নুসরাত হত্যা মামলা তদন্তে বেশ কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর লিখিত স্বাক্ষ নেয়া হয়েছে।
Advertisement
এর আগে পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম মহানগর পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঈন উদ্দিন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলমসহ তদন্তদলের কর্মকর্তারা নুসরাত হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রাশেদুল হাসান/আরএআর/জেআইএম