ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) এসব কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কলেজ অধ্যক্ষের কাছে এই স্মারকলিপি জমা দেন।
Advertisement
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক সমস্যার বিবরণ ও ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এ সময় তারা নিজ নিজ ক্যাম্পাসের সমস্যা নিয়েও অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি হচ্ছে- পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমু্ক্ত ফলাফল প্রকাশসহ একই বর্ষের সব বিভাগের ফলাফল একত্রে প্রকাশ, ডিগ্রি, অনার্স, মাস্টার্স সব বর্ষের পরীক্ষার ফলাফলে গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতা পুনঃ মূল্যায়ন, সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন, প্রতিটি বিভাগে মাসে দুইদিন করে অধিভুক্ত সাত কলেজে মোট ১৪ দিন ঢাবি শিক্ষকদের ক্লাস নেয়া ও সেশন জট নিরসনের লক্ষ্যে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে৷
উল্লেখ্য গত ২৩ এপ্রিল ৫ দফা দাবিতে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলনে নামে ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা৷ টানা দুই দিন সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের পর ২৪ এপ্রিল দুপুরে তাদের সঙ্গে কথা বলতে নীলক্ষেতে আসেন ঢাবি প্রক্টর৷ কিন্তু তার বক্তব্যে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট পারেননি। এ অবস্থায় সাত কলেজের প্রতিনিধিদের ভিসির কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানান প্রক্টর৷ পরে একই দিন বিকেলে ৭ কলেজের ১০ প্রতিনিধি ঢাবি ভিসির সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবিসমূহ তুলে ধরেন৷
Advertisement
বৈঠকে ভিসি ২৮ এপ্রিল সাত কলেজের অধ্যক্ষদের নিয়ে ঢাবি সিন্ডিকেট সভায় সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন ৷ এ অবস্থায় পরদিন (২৫ এপ্রিল) ঢাকা কলেজের ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন ২৭ এপ্রিল সাত কলেজের অধ্যক্ষের কাছে তাদের সমস্যা তুলে ধরে স্মারকলিপি দেয়া হবে এবং ২৮ এপ্রিল ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় কার্যকরী সিদ্ধান্ত না হলে কঠোর আন্দোলনে নামবেন তারা৷
এদিকে ২৮ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভার পর ২৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা৷
এমএমজেড/এমকেএইচ
Advertisement