রাজনীতি

দু-একজন শপথ নেয়ায় বিএনপির ক্ষতি হবে না : ড. মোশাররফ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে দু-একজন শপথ নিলে তাতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না। বিএনপি বটগাছের মতো দু-একটা পাতা ঝরলে তাতে কিছু যায় আসে না।

Advertisement

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের নতুন কমিটি গঠন উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে তিনি একথা বলেন।

মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপিকে চাপে রাখার জন্যই আমাদের নেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। জামিনযোগ্য মামলা হওয়া সত্ত্বেও একদিকে জামিন দিচ্ছে, অন্যদিকে অন্য মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে বিএনপিকে চাপে রাখা হচ্ছে না। এটা জনগণ বিচার করবে, জনগণের চোখের সামনে পরিষ্কার এই সরকার একতরফাভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিরোধীদলের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির ওপরে বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে।

Advertisement

দলীয় আনুগত্যের বাইরে গিয়ে বিএনপির নির্বাচিতরা কেন শপথ নিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটা বড় বটগাছ এখান থেকে দু-একটা পাতা ঝরে গেলে কিছু আসে যায় না। আমাদের অতীত ইতিহাসে এরকম আছে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবরণের পরে আবদুল মতিন এবং প্রেসিডেন্টের কেবিনেটের ডাকসাইটের মন্ত্রীরা এই বিএনপি ভাঙার চেষ্টা করেছিল, তারা পারে নাই। এরপর ওয়ান-ইলেভেনের সময় চেষ্টা করেছিল, সফল হয় নাই। অতএব দু-একজন শপথ নিল কি নিল না, এটা এত বড় দলের জন্য তেমন কোনো বিষয় না। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিলে দল গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে।

এ সময় তিনি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে শপথ নেয়াকে দুঃখজনক বলেও অভিহিত করেন।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাহফুজউল্লাহর মৃত্যুর খবরে তিনি বলেন, মাহফুজউল্লাহকে হারিয়ে জাতির অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। এই ক্ষতি কী দিয়ে পূরণ হবে তা আমি জানি না।

প্রবীণ এই সাংবাদিকের মৃত্যুতে বিএনপির পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- তাঁতি দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক বাহা উদ্দিন বাহার, ড. কাজী মনিরুজ্জামান, আব্দুল মতিন চৌধুরী, শেখ মো. ইউনুস, জাহাঙ্গীর আলম মিয়াজী, মো. সহিদ উল্লাহ, মো. গোলাম মাওলা খান বাবলু, মঞ্জুর মোরশেদ চৌধুরী, মো. বাশারুল আলম কামাল, মো. রেজাউল ইসলাম, ফয়েজ আহমেদ দৌলত, গোলাপ মঞ্জুর, জে এম আনিস, জাকির হোসেন লিটন, ফিরোজ কিবরিয়া, মুস্তাফা কামাল হাওলাদার, মো. ছিদ্দিক, ইছাহক আলী, কাজী মো. রেজাউল করিম ও সাখাওয়াত হোসেন আশিক প্রমুখ।

কেএইচ/এমবিআর/জেআইএম