দলীয় নির্দেশ অমান্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়া গণফোরামের মোকাব্বির খান দলের বিশেষ কাউন্সিলে অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার সকালে রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শুরু হওয়া গণফোরামের এই কাউন্সিলে তিনি মঞ্চে ড. কামাল হোসেনের তিন আসন পর বসেন। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করছেন গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
Advertisement
মোকাব্বির খানের মঞ্চে বসা নিয়ে দলের কাউন্সিলরদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। গ্যালারিতে বসা নেতাকর্মীরা তার প্রতি অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেন।
নেতাকর্মীরা মোকাব্বির খানের উদ্দেশে বলেন, ‘তুই ওখানে বসে আছিস কেন? তোর তো ওখানে বসার জায়গা নয়। ড.কামালের ওপরও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলটির কেউ কেউ।
গণফোরামের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক সাংবাদিকদের বলেন, মোকাব্বির খানকে নিয়ে কামাল হোসেনের নানামুখী আচরণ রাজনীতির জন্য খুব কষ্টদায়ক।
Advertisement
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর গণফোরাম ও ঐক্যফ্রন্টে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছিলেন মোকাব্বির। এই দলেরই আরেক নেতা সুলতান মনসুর শপথ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। শপথ নেয়ার কারণে মোকাব্বির খানকেও বহিষ্কার করা হবে মাঝে এমন গুঞ্জন উঠলেও শেষ পর্যন্ত তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানা যায়নি।
দল ও জোটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর ড. কামালের সঙ্গে মোকাব্বির দেখা করতে গেলে কামাল তার পিএসসহ কয়েকজনকে বলেন, ‘ওকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দাও। ফারদার (ভবিষ্যতে) যেন এখানে আর না দেখি।’
গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি। আর গণফোরামের দুটি মিলিয়ে ঐক্যফ্রন্ট পায় মোট আটটি আসন।
নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলে তারা। নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবে না বলেও ঘোষণা দেওয়া হয় বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে।
Advertisement
কিন্তু ধানের শীষ প্রতীকে ভোট করে জয়ী হওয়া গণফোরামের সুলতান মনসুর গত ৭ মার্চ শপথ নিয়ে এরই মধ্যে সংসদ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। পরে শপথ নিয়ে বুধবার প্রথমবারের মতো সংসদে যোগ দেন মোকাব্বির। প্রথমবারের মতো বক্তব্যের সুযোগ পেয়ে সিলেট-২ আসনের এই সংসদ সদস্য অতি দ্রুত নতুন নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সন্ধানের দাবি জানান।
কেএইচ/এনএফ/এমএস