কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলায় চাঁদাবাজ হাতির আক্রমণের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন রিকশাচালক আব্দুল বাতেন (৪৫)। দাবি করা চাঁদা না দেয়ায় বাতেনকে শুঁড়ে তুলে আছাড় দেয় হাতি।
Advertisement
বর্তমানে আব্দুল বাতেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এ ঘটনায় আহত বাতেনের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় হাতির মাহুত এনামুল হককে (১৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত রিকশাচালক বাতেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে আগরপুর রাস্তায় হাতি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি করছিল মাহুত এনামুল। এ সময় রাস্তা দিয়ে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন কুলিয়ারচর উপজেলার আগরপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল বাতেন। হাতি তার রিকশা থামিয়ে শুঁড় বাড়িয়ে দেয়। মাহুত জানায় তাকে ১০ টাকা দিতে হবে। কিন্তু বাতেন ৫ টাকা দিলে হাতি সেটি নিচ্ছিল না। মাহুত জানায় ১০ টাকার কম দিলে হাতি নেবে না। বাতেন ৫ টাকার বেশি দিতে রাজি হয় না। এ নিয়ে হাতির মাহুতের সঙ্গে তার তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে হাতি ক্ষিপ্ত হয়ে চালককে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে গাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ শূন্যে ঘুরিয়ে সজোরে ছুড়ে দেয়। পাশের এক বাড়ির দেয়ালে গিয়ে আছড়ে পড়েন বাতেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
Advertisement
হাতির মাধ্যমে চাঁদাবাজি করা মাহুত এনামুল নরসিংদীর শ্রীপুর উপজেলার কর্ণপুর গ্রামের ফয়েজ মিয়ার ছেলে। মাহুত এনামুল জানায়, হাতিটির মালিক নরসিংদীর কাজল মিয়া। মাসে ৫ হাজার টাকায় তিনি হাতিটি ভাড়া এনেছেন।
কুলিয়ারচর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) পারভেজ আলম সেলিম বলেন, হাতি নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বুধবার আহত বাতেনের স্ত্রী বকুলা বেগম বাদী হয়ে মাহুত এনামুল, হাতির মালিকসহ আরও ২-৩ জনকে আসামি করে কুলিয়ারচর থানায় মামলা করেছেন। তবে হাতিটিকে গতকালই তার মালিক এসে নিয়ে যায়। এরই মধ্যে এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নূর মোহাম্মদ/এএম/জেআইএম
Advertisement