বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় সু-প্রভাত বাসের মালিক-চালকসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এই মামলায় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, তার হেলপার ইব্রাহিম হোসেনকে, কন্ডাকটর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আটক রয়েছেন। তারা আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ১৯ মার্চ সকাল ৭টার দিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন প্রগতি সরণি এলাকায় সু-প্রভাত (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৪১৩৫) বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ চৌধুরী নিহত হন। ওইদিন দিবাগত রাতে নিহত আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আরিফ আহম্মেদ চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন।
Advertisement
মামলায় আসামি করা হয় বাসের চালক সিরাজুল ইসলাম, তার হেলপার ইব্রাহিম হোসেনকে, কন্ডাকটর ইয়াছির আরাফাত ও মালিক ননী গোপাল সরকারকে। মামলার ধারা পেনাল কোডের ২৭৯/ ৩৩৮ (ক)/৩০৪/ ও ১০৯। মামলা নম্বর ৩০।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাসটির চালক বেপরোয়া ও দ্রুতগতিতে বাড্ডার দিকে থেকে প্রগতি সরণি রোড দিয়ে কুড়িলের দিকে যাওয়ার পথে গুলশান থানার অধীন শাহজাদপুরের বাঁশতলায় পথচারী সিমথিয়া সুলতানা মুক্তাকে (২০) চাপা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আবারো বেপরোয়াভাবে দ্রুতগতিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গাড়ি চালিয়ে গুলশান থানার অধীন নর্দ্দা আইকন টাওয়ারের সামনে প্রগতি সরণির পাকা রাস্তার ওপর জেব্রা ক্রসিং দিয়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় আবরার আহাম্মেদ চৌধুরীকে চাপা দিয়ে বাস তার মাথার ওপর দিয়ে চলে যায়। ফলে তার মাথা থেঁতলে মগজ বের হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যান আবরার।
জেএ/এসআর/এমকেএইচ
Advertisement