আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বনানীর ২/এ রোডের ৯ নম্বর বাসায় শোকের মাতম চলছে। একে একে মন্ত্রী-এমপি ও আত্মীয়-স্বজন আসছেন এবং শেখ সেলিমকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
Advertisement
একপর্যায়ে দুপুরে বাসায় আসেন জায়ান চৌধুরীর দাদা এম এইচ চৌধুরী। নাতির মারা যাওয়ার শোকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে বাসার ভিতরে নেয়ার সময় তিনি বিলাপ করে বুক চাপাড়াচ্ছিলেন আর বলছিলেন আমার ভাই কই? জায়ান কই? আমার দাদা কইরে? আমার ভাইরে এনে দাও।
এম এইচ চৌধুরী যখন বিলাপ করতে করতে বাসার ভিতরে প্রবেশ করছিলেন তখন অন্য আত্মীয়-স্বজনরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক কথায় বলা চলে শেখ সেলিমের পুরো বাসায় শোকের মাতম। এক একজন আত্মীয়-স্বজন আসেন আর তাকে ঘিরে কান্নার রোল পড়ে যায়। আত্মীয়-স্বজনরা বলাবলি করছিলেন ছোট্ট জায়ান ছোট থেকেই খুব মায়াবী ছিল। এ জন্য প্রত্যেক আত্মীয়ের কাছে জায়ান ছিল খুব প্রিয়।
সকাল থেকে শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শাজাহান খান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আসাদুজ্জামান নূর, ইয়াফেস ওসমান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ইকবালুর রহীম, তৌফিক-ই ইলাহী, মুসা বিন শমসের, ফারুক খান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সমবেদনা জানাতে আসেন।
Advertisement
শেখ সেলিমের আরেক ভাই শেখ মারুফ সকাল থেকে বাসায়। তিনিই সব আত্মীয়-স্বজনকে টেককেয়ার করছেন।
এর আগে সকালে শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নাতি জায়ান মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনার বেয়াই ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। একই সঙ্গে শেখ সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী বেঁচে আছেন বলে জানান তিনি। তারা এও জানান যে, সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরীর দুই পা অকেজো হয়ে গেছে।
এফএইচএস/জেএইচ/পিআর
Advertisement