আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বনানীর (২/এ রোডের ৯ নং) বাসায় কোরআন তেলায়াত চলছে। বেশ কয়েকজন হাফেজ কোরআন খতম দিচ্ছেন।
Advertisement
বাসা থেকে শেখ সেলিম বা অন্য কেউ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত নাতি জায়ান চৌধুরীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেননি। তবে নাম প্রকাশ না করা শর্তে বাসার স্টাফরা বলেছেন, জায়ান চৌধুরী আর নেই।
শ্রীলঙ্কায় হামলার পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম গতকাল দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, বোমা হামলার ঘটনার পর থেকে এক শিশুসহ দুই বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তাদের নাম-পরিচয় সে সময় প্রকাশ করেননি তিনি।
এরপর ব্রুনেই সফররত শেখ হাসিনা সেখানে প্রবাসীদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে নিজের স্বজনদের বোমা হামলার শিকার হওয়ার কথা প্রথম জানান।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, ‘শেখ সেলিমের মেয়ে, জামাই ও দুই বাচ্চা নিয়ে শ্রীলঙ্কায় ছিল। সেখানে মেয়ের জামাই প্রিন্স … ছেলে সাড়ে আট বছর… ওরাও গিয়েছিল.. রেস্টুরেন্টে, সেখানে বোমা পড়েছে। জামাই আহত হাসপাতালে, বাচ্চাটার এখনও কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছে না যে সে কোথায় আছে। আপানারা একটু দোয়া করেন, যেন ওকে পাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ সেলিম।
শেখ সেলিমের জামাতা মশিউল হক চৌধুরী প্রিন্সের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তিনি কলম্বোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিভিন্ন স্থান থেকে আত্মীয়-স্বজনরা আজ শেখ সেলিমের বনানীর বাসায় আসছেন।
Advertisement
জানা গেছে, নাতি জায়ান চৌধুরী শেখ সেলিমের এ বাসাতেই থাকত। সে কারণে এখানেই মিলাদ মাহফিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেখা গেছে, ১০ থেকে ১২ জন হাফেজ বাসার নিচ তলায় বসে কোরআন খতম পড়ছেন। বাসার সামনে ও রাস্তার দুই পাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিকটাত্মীয় ছাড়া অন্য কাউকে বাসায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না।
শ্রীলঙ্কায় রোববার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে চলাকালে গির্জা এবং বিলাসবহুল হোটেল ও অন্যান্য স্থাপনায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯০ জনে। পুলিশের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল রাত পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ছিল ২০৭ জন। এফএইচএস/জেডএ/এমকেএইচ