জাতীয়

দরিদ্রতাকে পুঁজি করে অনেকে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন

অতীতের সরকারগুলো বাংলাদেশের ইতিবাচক সৌন্দর্যগুলো বহির্বিশ্বে মেলে ধরার চেষ্টা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। শুক্রবার ‘নদী ও জলকেন্দ্রিক পর্যটন : সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’- শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ভ্রমণ বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘ভ্রমণ’ ও নৌ মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

তিনি বলেন, একটা সময় ছিল- বন্যা, খরা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বাংলাদেশ- এটাই তুলে ধরা হয়েছিল। আমাদের দেশকে পৃথিবীর কাছে দুর্ভিক্ষের দেশ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল।

গণমাধ্যম ও কিছু সুশীলের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাসন্তীর ছবি বিক্রি করে অনেকেই বড় লোক হয়ে গেছে; বাসন্তীরা বাসন্তীই আছে। আমাদের দরিদ্র্যতাকে পুঁজি করে অনেকে নোবেল পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু সেই দরিদ্রতা দূর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সরকার বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে মেলে ধরার চেষ্টা করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভালো দিকগুলো কেউ এতদিন বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেনি। আমাদের দেশ নদীমাতৃক দেশ আমরা কী এটা পৃথিবীর সামনে তুলে ধরতে পেরেছি? আমাদের এত সুন্দর নদী পথের সৌন্দর্য আমরা তুলে ধরতে পারি নাই। কিন্তু আমরা এখন এটা চেষ্টা করতেছি।

তিনি বলেন, পর্যটনের বিষয়টার সঙ্গে বাংলাদেশকে জানার বিষয়টা আছে। আমরা দেশটাকে কতটুকু মেলে ধরতে পেরেছি। আমি যদি না জানি কলকাতা শহরটা কী রকম; আমাকে কিন্তু টানবে না। আমি যদি না জানি আমেরিকাটা কী রকম আমাকে কিন্তু টানবে না।

Advertisement

নৌপথ তৈরি করাকে বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল বিদ্যুৎ। আমরা তাতে সফল হয়েছি। বর্তমান সরকারের এবারের চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে ১০ হাজার কি.মি নৌপথ তৈরি করার। এ নৌপথ যদি আমরা তৈরি করতে পারি- তাহলে তো পর্যটক এমনিই আসবে। পথ থাকলে মানুষ হাঁটবে। বেসরকারি খাতগুলোও উৎসাহিত হবে। তারা ভাববে নৌপথ হয়েছে- এবার আমি জাহাজ বানাতে পারি। মানুষের সক্ষমতাও আছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের সব জেলা-উপজেলায় গিয়েছেন। তিনি জানেন কোথায় কী করতে হবে। দেশে এমন কোন নদী নাই যার পাড়ে তিনি যান নাই। এই যে নৌপথ তৈরির পরিকল্পনা প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতেই তিনি এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।

জনগণের খুব বেশি প্রত্যাশায় উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা ১০ বছরের মধ্যে বুড়িগঙ্গাকে একটা জায়গায় নিতে চাই। আমরা যখন একটা কাজ করতে যাই তখন প্রত্যাশাটা এত বেড়ে যায়- সঙ্গে সঙ্গে ইউরোপের সঙ্গে তুলনা করতে চাই। সঙ্গে সঙ্গে একটা উন্নত দেশের সঙ্গে তুলনা করতে চাই। আমরা বুঝি না যে, আমাদের অর্থনীতিটা কোন পর্যায়ে আছে। আমরা কতটুকু এগাতে পারব। এই জিনিসগুলো কিন্তু আমাদের ভাবতে হবে। খুব বেশি প্রত্যাশার জায়গাটায় নিয়ে গেলে, তখন একটা বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে ও ভ্রমণ সম্পাদক আবু সুফিয়ানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. বদরুজ্জামান ভূইয়া, ডিআইজি (ট্যুরিস্ট পুলিশ) মল্লিক ফখরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নওয়াজেশ আলী খান প্রমুখ।

Advertisement

এইউএ/জেএইচ/এমকেএইচ