আপাদমস্তক একজন টেস্ট ক্রিকেটার। দিমুথ করুনারত্নেকে সবাই টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবেই চেনে। এর কারণও আছে, ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যে শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন, এরপর আর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে সুযোগ মেলেনি তার। এমনকি টি-টোয়েন্টিতে পর্যন্ত অভিষেক হয়নি।
Advertisement
সেই দিমুথ করুনারত্নের হাতেই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে দলের দায়িত্ব তুলে দিলেন শ্রীলঙ্কার নির্বাচকরা। গত কয়েকমাস ধরে লঙ্কান দলকে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেয়া লাসিথ মালিঙ্গাকে সরিয়ে নতুন অধিনায়ক হিসেবে আগেই ঘোষণা করা হয় করুনারত্নের নাম। এরপর ঘোষণা করা হয় ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ১৫ সদস্যের শ্রীলঙ্কা দলের ক্রিকেটারদের নাম।
দক্ষিণ আফ্রিকার সফরের শেষ ওয়ানডে সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে হারের জের ধরেই মূলত লঙ্কান ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব কেড়ে নেয়া হয় লাসিথ মালিঙ্গার কাছ থেকে। বেশ কিছুদিন ধরেই সীমিত ওভারের ক্রিকেটে লংকানদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তিনি। তার নেতৃত্বেই ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করেছিল শ্রীলঙ্কা।
কিন্তু প্রোটিয়া সফরের সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে লঙ্কানদের ভরাডুবির জন্যই বিশ্বকাপে আর মালিঙ্গার ওপর আস্থা রাখতে পারেননি নির্বাচকরা। তার পরিবর্তে এমন একজনকে নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক নির্বাচন করা হলো, যার এই ফরম্যাটে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা কেবল ১৭টি।
Advertisement
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ব্যর্থতার পর দিনেশ চান্ডিমালকে সরিয়ে টেস্টে অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়েছিল দিমুথ করুনারত্নেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার বরিুদ্ধে টেস্ট সিরিজে তার নেতৃত্বেই স্বাগতিক প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশ করে শ্রীলংকা। তখন থেকেই আলোচনায়, আগামী বিশ্বকাপে হয়তো তার কাঁধেই নেতৃত্বভার তুলে দেয়া হতে পারে। শেষ পর্যন্ত সেটাই সত্যি হলো।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার একদিন আগেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড করুনারত্নেকে অধিনায়ক হিসেব ঘোষণা করে। দক্ষিণ আফ্রিকা মালিঙ্গার দলের ভারডুবি আর ঘরোয়া ক্রিকেটে করুনারত্নের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই তাকে এগিয়ে দিয়েছিল অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে।
এখনও পর্যন্ত ১৭টি ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নেমে ১৫.৮৩ গড়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করেছেন করুনারত্নে। এর মধ্যে একটি মাত্র হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার। বিশ্বকাপের জন্য করুনারত্নে ছাড়াও নেতৃত্বের দৌড়ে ছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ, থিসারা পেরেরারা।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement