জাতীয়

যে পদ্ধতিতে ভাঙা হবে বিজিএমইএ ভবন

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বলেছেন, বিজিএমইএ ভবনের অফিসগুলোর মালামাল বিকেল ৫টার মধ্যে সরিয়ে নিতে বলেছি।

Advertisement

এরপর আমরা এটা সিলগালা করে দেব। আমরা ইতোপূর্বে চাইনিজ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সহযোগিতায় কন্ট্রোলড ডিমোলেশিং (নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভবনটি ভাঙা হবে। 

তিনি বলেন, এর আগে র‌্যাংগস ভবন অপসারণ করতে বেশকিছু ক্যাজুয়ালিটি হয়েছিল। আমরা চাই এ ভবনটি সঠিকভাবে অপসারণ করতে। তাই চাইনিজ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কন্ট্রোলড ডিমোলেশিং পদ্ধতিতে এটি অপসারণ করা হবে। অপসারণের অংশ হিসেবে আমরা এ ভবনটির ইউটিলিটি সার্ভিস বিচ্ছিন্ন করব।

মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ভবনের সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

Advertisement

প্রধান প্রকৌশলী বলেন, কন্ট্রোলড ডিমোলেশিং একটি প্রসেসের বিষয়। এটি একটি বিশাল ভবন। এখানকার গ্লাসগুলো আগে খুলে ফেলতে হবে। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয় আছে, যা সম্পন্ন করার পরই অপসারণ করা হবে ভবনটি। আমরা আজ থেকে ভবন অপসারণের প্রাথমিক কাজ শুরু করেছি, যা শেষ করতে কিছুটা সময় লাগবে।

এদিকে আজ সকালে রাজউক পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে নির্মিত বহুতল বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজে সার্বিকভাবে প্রস্তুত আছি। ভবন ভাঙার জন্য আমাদের বুলডোজারসহ অন্যান্য গাড়ি সামনে প্রস্তুত। এ ভবনে ব্যাংকসহ অন্যান্য অফিস আছে। ব্যাংকের ভল্টে টাকাসহ অফিসের অন্য মালামাল তারা (বিভিন্ন অফিস সংশ্লিষ্টরা) সরিয়ে নেয়ার কাজ করছে। আমাদের কাছ থেকে তারা সময় চেয়ে নিয়েছে। আমরা তাদের মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় এবং সুযোগ দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এটি ১৫তলা বিল্ডিং, অনেক অফিস আছে এখানে। তারা তাদের মালামাল সরিয়ে নেবে। এরপর আমরা ভাঙার কাজ শুরু করতে পারব। বর্তমানে আমরা প্রাথমিক কাজগুলো করছি।’

এর আগে সকাল ৯টা থেকে বিজিএমইএ ভবনের সামনে রাজউক কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা অবস্থান নেন। পাশাপাশি ভবন ভাঙার গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়।

Advertisement

আমরা বসে নেই জানিয়ে খন্দকার অলিউর রহমান তখন বলেন, ‘ভবন ভাঙার প্রাথমিক কাজ আমরা করছি। সব অপসারণের পর আমাদের কার্যক্রম শুরু হবে। এটা ১০ ঘণ্টা লাগতে পারে আবার একদিনও লাগতে পারে।’

এটা তো পূর্বনির্ধারিত ছিল তাহলে আজ কেন অপসারণ করা হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মহামান্য হাইকোর্ট ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন। মাঝখানে কয়েক দিন বন্ধ ছিল। এরপর কর্মদিবস শুরু হয়েছে। আমরাও আমাদের কাজ শুরু করেছি।’

সর্বশেষ ১২ এপ্রিলের মধ্যে ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিলেন আদালত। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে নেমেছে রাজউক।

এএস/জেডএ/পিআর