ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বাড়িতে গিয়ে বিএনপি নেতারা ‘আলগা সোহাগ’ দেখিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
Advertisement
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘নুসরাত হত্যার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে- যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া। সে অনুযায়ী সরকারি সংস্থাগুলো কাজ করছে। সরকারি সংস্থার কারও গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার পদক্ষেপ ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে রাজনীতি করার কোনো কারণ খুঁজে পাই না। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতিকে টেনে আনা ঠিক নয়। এ ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্ত তারা সবাই দুর্বৃত্ত, তারা যে দল বা ঘরানার কিংবা গোষ্ঠীর হোক তারা সবাই দুর্বৃত্ত। এ দুর্বৃত্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন, যেটির জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, সরকার কাজ করছে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।’
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা দেখলাম এ ঘটনার পর এটিকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা হচ্ছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাহেব যে কথাগুলো বলেছেন, এগুলো একটি ন্যক্কারজনক ঘটনাকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা। সবকিছুতে রাজনীতি টেনে আনা ঠিক নয়। আমি মনে করি দলমত নির্বিশেষে সবার এই ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্ছার হওয়া প্রয়োজন। কেউ কারও আশ্রয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখলাম তারা (বিএনপি নেতারা) নুসরাতের বাড়িতে গেছেন, আমাদের দেশে একটা কথা চালু আছে, মনের মধ্যে সোহাগ নেই, কিন্তু বাইরে সোহাগ দেখায়। এটাকে বলে আলগা সোহাগ। বিএনপি নেতাদের নুসরাতের বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে আলগা সোহাগ। ওনারাই তো মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে, কেরোসিন ঢেলে দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যার রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু করেছেন। ৫০০ জনের বেশি মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা আগুনে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে, আগুনে পুড়িয়ে হত্যার যে সংস্কৃতি তারা চালু করেছে তাদের তো এই ঘটনা নিয়ে মায়া কান্না করার কোনো অধিকার আছে বলে আমি মনে করি না।
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতরা সংসদে যোগ দেবেন বলে শোনা যাচ্ছে- এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি পত্রিকায় দেখেছি, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে সংসদে যোগ দেয়া-না দেয়া নিয়ে একটি বৈঠক তারা করেছে। আমি মনে করি এটা অত্যন্ত ইতিবাচক। গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা যদি সংসদে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে পুরো দেশবাসী স্বাগত জানাবে।’
Advertisement
‘আমরা তো অবশ্যই স্বাগত জানাবো। আমরা মনে করি তারা এখন রাজপথে যেভাবে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার, সংসদে গিয়ে তারা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারে।’
মন্ত্রিসভায় কোনো রদবদল আসছে কিনা- জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
আরএমএম/এমএমজেড/এএইচ/এমকেএইচ