পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখার বিষয়ে গত ৬ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারীদের দাবি যাচাইয়ে বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে ১১ সদস্যের একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। মারকাযুদ দাওয়াহর শিক্ষাসচিব মুফতি মাওলানা আবদুল মালেকের নেতৃত্বে উক্ত কমিটি যারা চাঁদ দেখেছেন বলে দাবি করেছেন তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে আগামী ১৭ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বরাবর সুপারিশ প্রদান করবেন।
Advertisement
কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ, ফরিদাবাদ মাদরাসার মুহতামিম ও বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি রুহুল আমীন, শায়খ যাকারিয়া (রহ.) ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম (মসজিদুল আকবর কমপ্লেক্স) মাদরাসার মুহতামিম মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন, তেজগাঁও মদীনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক আল আযহারী, লালবাগ মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি মো. ফয়জুল্লাহ ও প্রধান মুফতি মাওলানা ইয়াহ্ইয়া, মোহাম্মদপুর জামেয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতি মো, মাহ্ফুজুল হক ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আজ (শনিবার) সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখার বিষয়ে বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ এ সিদ্ধান্ত জানান।
সভায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো কার্যকলাপে অংশগ্রহণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, চাঁদ দেখার বিষয়টি যেহেতু ইসলামি শরিয়তের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই এ বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বিশিষ্ট আলেম-ওলামাগণ সুপারিশ প্রদান করবেন। জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি সেই সুপারিশ অনুসারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
সভায় ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমানসহ জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ দেশের বিশিষ্ট আলেম-ওলামা এবং যারা চাঁদ দেখেছেন বলে দাবি করেছেন তারা অংশ নেন।
এমইউ/এসএইচএস/এমএমজেড/জেআইএম/এমএস
Advertisement