যৌন হয়রানির অভিযোগ করায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নৃশংসতা বিরল। নিষ্ঠুর সেই বিরল ঘটনায় মেয়ে হারিয়ে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে যেন ফেনীর সোনাগাজীর এ কে এম মুসার।
Advertisement
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে গতকাল (বুধবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। এই প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করেন- এমন অভিযোগে গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেন নুসরাতের মা শিরিন আক্তার। ছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় অধ্যক্ষের পক্ষের লোকজন নুসরাতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে নুসরাতের বাবা যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তখন হাসপাতালের মর্গে তার মেয়ের মরদেহের ময়নাতদন্ত করছেন চিকিৎসকরা। ওই মর্গের সামনে দাঁড়িয়েই কথা বলেছিলেন তিনি। সব হারিয়ে রাষ্ট্রের কাছে এই বাবার চাওয়া এখন কেবল ন্যায়বিচার।
মুসা বলেন, যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি দেয়া হলেই আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে।
Advertisement
তিনি বলেন, আমার মেয়ে নিষ্পাপ। তাকে প্রথমে যেভাবে হেনস্তা করা হয়েছে তার প্রতিকার চেয়েছিল আামার মেয়ে। থানায় গিয়েছিল মামলা দিতে, কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়। পরবর্তীতে নৃশংসভাবে তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। আমি ভাষা হারিয়ে ফেলছি...
কথা শেষ হয়ে যাওয়ার আগে এটুকুই তিনি বলতে পারলেন, আমি শুধু আমার মেয়ের শান্তি চায়.. আর তা হলে বিচারের মধ্যে দিয়ে...
এএসএস/এনএফ/জেআইএম
Advertisement