২০১৫ সালের আগস্ট থেকে এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ তিন বছর সাত মাসে (৪৩ মাস) সারাদেশে খাদ্যে ভেজালবিরোধী চার হাজার ৫০৯টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। মামলা করা হয়েছে সাত হাজার ৬৫০টি। এতে দণ্ডিত ব্যক্তির সংখ্যা সাত হাজার ৫৬২ জন। এ সময়ে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ ১৩ হাজার ৩৪০ টাকা।
Advertisement
আসন্ন রমজান উপলক্ষে খাদ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ ও ভেজাল রোধে বুধবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, কমিটির সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কিমিটির সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, মো. আব্দুল হাই, মো. আয়েন উদ্দিন, আতাউর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মাদক এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলের মতো খাদ্যে ভেজাল নির্মূলেও সারাদেশে অভিযান জোরদার করা হবে। খাদ্যে ভেজাল ও দূষণ রোধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করা হবে। শুধু ভেজাল নয় নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।
Advertisement
তিনি বলেন, যে ব্যক্তি ভেজাল দিচ্ছেন তিনিও কিন্তু এর ভোক্তা। তিনি যখন আরেকটি জিনিস কিনতে যাচ্ছেন তখন কিন্তু ভেজাল জিনিস কিনছেন। অতএব আমরা সবাই কিন্তু ভোক্তা। সুতরাং আমরা নিজেরা যদি সচেতন না হই, নিজেরা যদি বিবেকবান না হই তাহলে হবে না। আমি মনে করি, তারা (খাদ্যে ভেজাল দেন যারা) দেশের শক্র, জাতির শত্রু। তারা মানুষ হত্যাকারীর চেয়েও বড় অপরাধী বলে আমি মনে করি।
আসুন প্রতিটি মানুষ ও সংগঠন ভেজালবিরোধী আন্দোলন গড়ে তুলি- আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খাদ্যে ভেজাল রোধে মন্ত্রণালয় যেসব ব্যবস্থা নেবে সে বিষয়ে আমরা সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে সহযোগিতা করব ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ করব।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, সংসদীয় কমিটির যে কার্যক্রম, যে ক্ষমতা সেই ক্ষমতা অনুযায়ী আমরা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছি যাতে সন্ত্রাস ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের মতো খাদ্যে ভেজাল নির্মূল করা হয়।
Advertisement
এখনও আমরা নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারিনি মন্তব্য করে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, আমাদের মৌলিক অধিকারের প্রথম বিষয়টি খাদ্য। তাই আমাদের দরকার নিরাপদ খাদ্য। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন প্রয়োজন নিরাপদ খাদ্য। নিরাপদ খাদ্য অত্যন্ত প্রয়োজন। যারা খাদ্যে ভেজাল মেশান তাদের বলতে চাই, এ ব্যাপারে আইনের প্রয়োগ কঠোর করা হবে। পাশাপাশি যারা খাদ্য কেনেন তাদেরও সচেতন হতে হবে।
এইচএস/জেডএ/পিআর