দেশজুড়ে

ছাত্রীর গায়ে আগুন, শম্পা সন্দেহে পপি আটক

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষার্থীকে (১৮) কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আলোচিত শম্পা সন্দেহে পপি নামে এক ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে তাকে আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফেনীর পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। মামলার তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি তিনি।

আটক উম্মে সুলতানা পপি সোনাগাজী উপজেলার মঙ্গলকান্দি ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। সে ওই মাদরাসার ছাত্রী রাফির শ্লীলতাহানির ঘটনায় আটক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ-দৌলার শ্যালিকার মেয়ে। সে একই মাদরাসা থেকে এবার আলিম পরীক্ষা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, অগ্নিদগ্ধের সময় কেউ একজন ‘শম্পা চল’ বলেছেন এমন শব্দ অগ্নিদগ্ধ ছাত্রী শুনেছেন বলে চিকিৎসকদের কাছে তথ্য দিয়েছেন। সেই সূত্রে শম্পা সন্দেহে পপিকে আটক করে পুলিশ। সে ওই মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement

এর আগে ‘ডাইং ডিক্লারেশন’ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছাত্রী তার শরীরে আগুন দেয়া বোরকা পরা চারজনের মধ্যে একজনের নাম ‘শম্পা’ বলে জানিয়েছেন। তার দেয়া বক্তব্য মামলার বিচারকাজে ব্যবহৃত হতে পারে বলে জানায় পুলিশ।

এর আগে দুপুরে সোনাগাজীর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, শম্পা বা আরেকটা নাম আছে আমরা শুনেছি। নামটা কিন্তু কনফার্ম নয়। তারপরও ওই নামের মেয়েটিকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। তাকে আমরা তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করব।

এর আগে ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান ওই ছাত্রী। ওই সময় তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করেছে এক ছাত্রীর এমন সংবাদে ভবনের চারতলায় যান তিনি। সেখানে মুখোশ পরা ৪-৫ জন ছাত্রী তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। এতে অস্বীকৃতি জানালে তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন অগ্নিদগ্ধ ছাত্রীর বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

Advertisement

এর আগে ২৭ এপ্রিল ওই ছাত্রীকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেছেন।

রাশেদুল হাসান/এএম/জেআইএম