সকল স্তরের শিক্ষার জন্য একটি প্রধান মন্ত্রণালয় প্রয়োজন। তবেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসজিডি) বাস্তবায়ন সহজ হবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন।
Advertisement
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ন্যাশনাল কনসালটেশন অন এসডিজি স্ট্র্যাটেজিক ফ্রেমওয়ার্ক (ড্রাফ) ফর বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণসাক্ষরতা অভিযান এবং ইউনেসকো।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও বাস্তবতার প্রয়োজনে শিক্ষাব্যবস্থার কোন স্তর কতটা গুরুত্ব পাবে সে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘আমার মনে হয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক শিক্ষা স্তর। কারণ প্রাথমিক স্তর শিক্ষার্থীর ভিত্তি স্থাপন করে। ভিত্তি যদি ঠিক না থাকে তাহলে উচ্চপর্যায়ে গিয়ে সে পারবে না। প্রাথমিকে ভিত্তি শক্ত করতে না পারলে মাধ্যমিকে গিয়ে সে পারবে না। সেখানে ঝরে পড়ার হার বেড়ে যাবে। যখন শিক্ষার্থীর কাছে কঠিন মনে হবে, তখন সে আর স্কুলে যাবে না। তাই প্রাথমিক বেশি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন। আমার মনে হয়, শিক্ষার জন্য একটা মন্ত্রণালয় হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, একটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে একাধিক বিভাগ থাকতে পারে। তবে শিক্ষা-সংক্রান্ত মন্ত্রণালয় একটিই হওয়া উচিত।
Advertisement
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষাকে। এরপর কারিগরি শিক্ষা, মাদরাসা শিক্ষা ও সব শেষে গুরুত্ব পাবে উচ্চশিক্ষা।’
এর কারণ হিসেবে মো. আলমগীর বলেন, ‘ভিত শক্ত করতে প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে উচ্চশিক্ষাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে এমএ পাস করে বেকার থাকছেন। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব না দিয়ে এসএসসি পাস না করলে অথবা কেউ লেখাপড়া না করলে সে-ও বেকার থাকছেন। তাই প্রথমে প্রাথমিক শিক্ষকে গুরুত্ব দিতে হবে, তারপর কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। আর সব শেষে গুরুত্ব দিতে হবে উচ্চশিক্ষাকে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ইউনেসকোর লিড কনসালটেন্ট শ্যামল কান্তি দাস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মাহামুদ-উল-হক ও জাবেদ আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের (বিএনসিইউ) মেম্বার সেক্রেটারি মো. মঞ্জুর হোসেন, ইউনেসকোর কনসালটেন্ট ড. জিয়া-উস-সবুর প্রমুখ।
এমএইচএম/এসআর/এমএস
Advertisement