দেশজুড়ে

বরিশাল পলিটেকনিকে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ

বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ছয়জন আহত ও এক শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ সময় ক্যাম্পাস সংলগ্ন কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করা হয়।

Advertisement

উভয়পক্ষ নিজেদের ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার করার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- ইলেকট্রনিক দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্র তানভীর, সাহরুল ইসলাম শান্ত, রাব্বি গাজী, ট্যুরিজম প্রথমবর্ষের ওমর, নাঈম ও মাহিন। লাঞ্ছিত হয়েছেন ইলেক্ট্রো মেডিকেল বিভাগের চিফ ইন্সট্রাক্টর ও মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রাবাসের হল সুপার আনিসুর রহমান।

জানা গেছে, পলিটেকনিকের ছাত্রলীগ কর্মী সৈয়দ সাহরুল শান্ত, রাব্বি ও তানভীর ক্যাম্পাসে ছাত্রাবাসের সামনে আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় পলিটেকনিকের সাবেক ছাত্র ও বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন শান্ত এবং রাফিসহ ১০/১২ জন ক্যাম্পাসে ঢুকে ওই তিনজনকে ডেকে মারধর করে।

Advertisement

এর প্রতিবাদ করেন ওই ছাত্রদের সহপাঠীরা। এমনকি তারা চিফ ইন্সট্রাক্টর আনিসুর রহমানের কাছে বিচার দিতে যান। এ সময় শিক্ষক আনিসুর রহমান তাদের অভিযোগ না শুনে বহিরাগতদের পক্ষ নিয়ে ওমর ও নাঈমুল ইসলামকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।

এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন কয়েকটি দোকানে হামলা ও ভাঙচুর করে। পাশাপাশি শিক্ষক আনিসুর রহমানকে লাঞ্ছিত করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইন্সট্রাক্টর আনিসুর রহমান বলেন, বহিরাগত নয় বরং ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের নিজেদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। ছাত্ররা মাহিন নামের এক ছাত্রকে মারধর করে। এজন্য সে ভয়ে দৌড়ে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে পালিয়ে থাকে। পরে আমি গিয়ে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করি। সাজ্জাদ নামের যে ছেলেটির নামে অভিযোগ করা হয়েছে সে আগে আমাদের ছাত্র ছিল। কিন্তু এখন নেই। তবে যে ঝামেলা হয়েছে তা সাজ্জাদের সঙ্গে নয়, ছাত্ররা নিজেরাই করেছে। আমি ওদের নিবৃত করতে গেলে শিক্ষার্থীদের একপক্ষ আমার সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছে। এর জের ধরে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।

Advertisement

সাইফ আমীন/এএম/এমকেএইচ