মিয়ানমার সামরিক বাহিনী আবারও নিজেদের নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে যা যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করতে পারে জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে রাখাইনে হামলার ঘটনায় তারা (জাতিসংঘ) ‘ব্যাপকভাবে বিরক্ত’।
Advertisement
‘দায়মুক্তির পরিণাম ভয়াবহ হবে’ উল্লেখ করে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার রাভিনা শামদাসানি শুক্রবার জেনেভায় এ কথা বলেন।
অতীতের বছরগুলোতে বেসামরিক জনগণের ওপর হামলার ব্যাপারগুলো জবাবদিহির আওতায় আনার পদক্ষেপের মধ্যেই আবারও এমন হামলার খবর পাওয়া গেল।
সংবাদ সম্মেলনে রাভিনা বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালতি নির্বিচারে হামলা ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা এবং রাখাইনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ওপর চলমান হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
Advertisement
তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যকার সংঘাতে বেসামরিক নাগরিক হত্যা, তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া, নির্বিচারে গ্রেফতার, অপহরণ, বেসামরিক এলাকায় আগুন এবং সাংস্কৃতিক সম্পদ ধ্বংস হয়েছে।
জেনেভার সংবাদ সম্মেলন অনুসারে, এসব হামলা ও সংঘাত রাখাইন ও চিন প্রদেশের রাখাইন, রোহিঙ্গা, চিন, ম্রো এবং ডায়েগনেটসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব ফেলেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর থেকে পাওয়া প্রতিবেদন অনুসারে, রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহের সংঘাতে বুথিডং, রাথেডং, টিয়্যাকটো, ম্রক-ইউ এবং সিট্টে এলাকার ২০ হাজার রোহিঙ্গা বাস্ত্যুচ্যুত হয়েছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মানবিক সহায়তা দেয়ার ওপর সরকারের বাধা আরোপের পর থেকে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে বেসামরিক জনগণের ওপর সহিংসা বেড়েছে।
Advertisement
স্থানীয় সূত্র বলছে, গত ৩ এপ্রিল সন্ধ্যায় দুটি সামরিক হেলিকপ্টার দক্ষিণ বুথিডংয়ে হপন নিও লেইক গ্রামের ওপর গুলিবর্ষণ করলে অন্তত সাতজন নিহত ও ১৮ জন আহত হন।
সূত্র : ইউএনবি
জেডএ/জেআইএম