জাতীয়

১০০ উপজেলায় হবে সিনেপ্লেক্স : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দেশের তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতি চর্চা ও প্রসারে দেশের সকল উপজেলায় মাল্টিপারপাস কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর আওতায় প্রথম পর্যায়ে দেশের ১০০টি উপজেলায় মাল্টিপারপাস কালচারাল কমপ্লেক্স নির্মিত হবে, যেখানে থাকবে ৪০০ থেকে ৫০০ আসনের একটি মিলনায়তন, একটি মুক্তমঞ্চ ও একটি আধুনিক সিনেপ্লেক্স। এর মাধ্যমে দেশে সিনেমা প্রদর্শনের জন্য আধুনিকমানের সিনেমা হলের সংকট অনেকাংশে দূরীভূত হবে।

Advertisement

আজ বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ৮ নম্বর শুটিং ফ্লোরে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস-২০১৯ উপলক্ষে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটি ও বিএফডিসি আয়োজিত বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা এবং উত্তরণের উপায় শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) লক্ষণ চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।

প্রধান অতিথি বলেন, ‘২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার পর থেকে প্রতি বছর ৩ এপ্রিল জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। নতুন এসএমই নীতিমালা অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার সুযোগ রয়েছে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা এ সুযোগ নিতে পারেন।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘সিনেমা হলগুলো আধুনিকীকরণ ও সিনেমায় অর্থ লগ্নিসহ চলচ্চিত্র শিল্পে বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহযোগিতায় তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করতে পারে। সেক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।’

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরিয়ে আনতে সুদক্ষ অভিনয় শৈলি, ভালোমানের স্ক্রিপ্ট, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য দূরীকরণ ও সিনেমা দেখার সুন্দর পরিবেশ-এ চারটি বিষয়ের সমন্বয় জরুরি উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু চলচ্চিত্র নয়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের লোকজ সংস্কৃতি সংরক্ষণেও বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। সে লক্ষ্যে লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম উপাদান যাত্রাশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সপ্তাহব্যাপী সারাদেশে যাত্রাপালা আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ‘

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেমিনার উপ-কমিটির আহ্বায়ক ও প্রবন্ধকার মতিন রহমান। বক্তব্য রাখেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও প্রদর্শক খোরশেদ আলম খসরু, চলচ্চিত্র প্রদর্শক মিয়া আলাউদ্দিন ও নায়ক জায়েদ খান।

এমইউ/এসআর/পিআর

Advertisement