নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে ছয় সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
Advertisement
বুধবার দুপুরে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন নোয়াখালীর ২নং আমলি আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ। শুনানি শেষে এ ঘটনায় জড়িত আবুল বাসারের তিনদিন ও ইউসুফ মাঝির দুইদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।
একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম বেচু। পরে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এর আগে মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃত অপর তিন আসামি আরমান, রুবেল ও রয়হানের সাতদিন করে রিমান্ড চেয়ে বিচারক নবনীতা গুহের আদালতে সোপর্দ করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মামলার প্রধান আসামি আবুল কালাম বেচু আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এ নিয়ে সর্বমোট ছয়জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
Advertisement
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চরজব্বার থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম বলেন, এ মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে। এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক। অন্যদেরও রিমান্ড চাওয়া হবে।
৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন রাতে স্থানীয় চরজব্বার বাজার থেকে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ইউসুফ মাঝি ও বেচু মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২ জন ওই নারীর স্বামীর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারধর করে। পরে স্বামীকে এক পাশে আটকে রেখে গৃহবধূকে পাশের কলা বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই রাতে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন নির্যাতিতার স্বামী আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও চারজনসহ মোট ১২ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।
মিজানুর রহমান/এএম/পিআর
Advertisement