পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন এটাকে ‘নিয়তি’ বলে বসে থাকলে চলবে না। বরং মৃত্যুর কার্যকারণগুলো ব্যাখ্যা করে সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে সাঁতার শেখার ব্যাপারটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ব্যাপারে সচেতনতাও বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি।
Advertisement
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর ক্যানেলে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে রাসেল (৮) নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পৌরসভা এলাকার রানীগ্রাম এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাসেল রানীগ্রাম মধ্যপাড়ার রবি আলমের ছেলে। দুপুরে ফুফুর সঙ্গে যমুনা নদী থেকে বের হওয়া ক্যানেলে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যায় রাসেল। খবর পেয়ে রাজশাহী থেকে আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল অভিযান চালিয়ে তার মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ ধরনের শোকাবহ পরিস্থিতি কিছুতেই কাম্য নয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১৫ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, যা মোট শিশুমৃত্যুর ৪৩ শতাংশ। আর প্রতিদিন গড়ে ৪০টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। বলতে গেলে শিশুর অন্যতম ঘাতক এই পানিতে ডুবে মৃত্যু। এই মৃত্যু রোধ করতে হলে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে পরিবারকে। শিশুরা জলাধারের কাছে যাতে যেতে না পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।
এ ব্যাপারে বাড়াতে হবে সামাজিক সচেতনতা। গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে যে সমস্ত শিশুরা সাঁতার শেখার উপযোগী হয়েছে তাদেরকে অবশ্যই সাঁতার শেখাতে হবে। এগিয়ে আসতে হবে স্থানীয় প্রশাসন, এনজিওসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে। সাঁতার না জানার কারণেই অধিকাংশ শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
Advertisement
শুধু শিশুরাই নয় প্রাপ্তবয়স্কদেরও পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। আমাদের দেশে সাঁতার শেখা বা শেখানোকে একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ হিসেবে এখনো মনে করা হয়। এ ধরনের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। শিশুরাই আগামী, তাদের রক্ষায় আরো যত্নশীল ও দায়িত্ববান হতে হবে।
এইচআর/জেআইএম