মাসদুয়েক আগেও হয়তো এতোটা আশা করেনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল। ভারতের মাটিতে ০-২ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের পর এবার পাকিস্তানকে ৫-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয়া। বিশ্বকাপের আগে রীতিমতো দাপট দেখিয়েই বেড়াচ্ছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
Advertisement
অথচ গতবছর খেলা ১৩টি ওয়ানডের মধ্যে মাত্র ২টি জিততে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই একই দল এশিয়ার মাটিতে টানা ৮ ম্যাচ ধরে অপরাজিত। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে এমন দুর্দান্ত ফর্ম ভয় ঢোকাবে অংশগ্রহণকারী অন্য দলগুলোর মনে।
রোববার রাতে দুবাইয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচে ২০ রানে জিতেছে সফরকারীরা। টপঅর্ডারের ৪ ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে ৩২৭ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। জবাবে হারিস সোহেলের ক্যারিয়ার সেরা সেঞ্চুরি এবং আরও দুই ফিফটির পরেও ৩০৭ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।
শেষ ম্যাচে হারিস সোহেলের সেঞ্চুরিসহ পুরো সিরিজে মোট পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। এর মধ্যে চতুর্থ ম্যাচেই হয়েছে জোড়া সেঞ্চুরি। অথচ একটি ম্যাচও জিততে পারেনি তারা, সবগুলো সেঞ্চুরি গেছে বিফলে।
Advertisement
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উসমান খাজা মাত্র ২ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন। ১০ চারের মারে ১১১ বলে খেলেন ৯৮ রানের ইনিংস। ৬৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস আসে আরেক ওপেনার ও অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের ব্যাট থেকে।
পুরো সিরিজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এ ম্যাচে খেলেন ৩৩ বলে ৭০ রানের ঝড়ো ইনিংস। দশ চারের সঙ্গে ৩টি বিশাল ছয়ের মারে সাজান এ ইনিংসটি। এছাড়া শন মার্শের ব্যাট থেকে আসে ৬১ রান। শেষদিকের ব্যাটসম্যানদের টুকটাক অবদানে ৭ উইকেটে ৩২৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া।
৩২৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ফিফটি হাঁকান শান মাসুদ এবং অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম। দুজনই করেন পাক্কা ৫০ রান। ক্যারিয়ার সেরা সেঞ্চুরিতে ১৩০ রানের ইনিংস খেলেন হারিস সোহেল। তবু পারেননি দলের হার এড়াতে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে পাকিস্তানের ইনিংস থামে ৩০৭ রানে।
মাত্র ৩৩ ৩৩ বলে ৭০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ম্যাক্সওয়েল। পুরো সিরিজে ২টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফসেঞ্চুরিতে ৪৫১ রান করে সিরিজসেরা নির্বাচিত হয়েছেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ।
Advertisement
এসএএস/এমকেএইচ