ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল ব্যক্তিগতভাবে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনে সমঝোতার নির্বাচন হোক। কিন্তু অন্য দুই মন্ত্রণালয়ের দুই প্রতিমন্ত্রী (পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু) আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন দিয়েছেন আবাহনী জোটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবদুস সাদেক ও তাদের প্যানেলকে।
Advertisement
ওই দুই প্রতিমন্ত্রীই অবশ্য আবাহনীর পরিচালক। একই অনুষ্ঠানে ছিলেন আবাহনীর আরেক পরিচালক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনও।
আবাহনী জোটের প্রতিপক্ষ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী যুবলীগ নেতা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মোহামেডানের প্রতিনিধি একেএম মমিনুল হক সাঈদ। রোববার দুপুরের পর দুপক্ষ নিজেদের সমর্থকদের নিয়ে মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ গঠিত নির্বাচন কমিশনে। মনোয়নপত্র জমা দিয়ে দুই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সমঝোতা হয়নি। সময় অবশ্য ফুরিয়েও যায়নি। ৪ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি কমিটিকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করার সুযোগ আছে। তবে বাস্তবে সম্ভাবনা কম। আবদুস সাদেক বলেছেন, ‘মনে হয় না সমঝোতার কোনো সম্ভাবনা আছে। আমাকে সাধারণ সম্পাদক রেখে সমঝোতার একটা চেষ্টা হয়েছিল; কিন্তু সাঈদ রাজি হয়নি। ভোট হবে। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’
Advertisement
মমিনুল হক সাঈদ সমঝোতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আসলে ঐকমত্য ও সমঝোতার কথা মিডিয়ায়ই শুনেছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। কোনো প্রস্তাবও পাইনি। কোনো বৈঠকও হয়নি। আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে আগে থেকেই কাজ করেছি। আমার বিশ্বাস বিজয়ী হবো।’
হকির নির্বাচনে কোনো নাটক হবে কি না তা দেখতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে রোববার দুপক্ষ শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় উত্তেজনার একটা ঝাঁজ কিন্তু ছড়িয়েছে। বিশেষ করে দেশের দুই সমর্থকপুষ্ট ক্লাব মোহামেডান ও আবাহনীর নেতৃত্বে হকির সংগঠকরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া এবং দুপক্ষের নেতৃত্ব দেয়া সংগঠকরা সরকারদলীয় সমর্থক হওয়ায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। লড়াইটা ভোটেই হোক- এমন মনোভাব সবারই।
আরআই/আইএইচএস/পিআর
Advertisement