শিক্ষা

সোমবার এইচএসসি পরীক্ষায় বসছেন সাড়ে ১৩ লাখ পরীক্ষার্থী

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামীকাল সোমবার (১ এপ্রিল)। প্রথম দিন বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত চলবে। এ বছর পরীক্ষায় বসছেন ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ পরীক্ষার্থী। গতবারের চেয়ে এবার ৪০ হাজার ৪৮ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে বলে জানা গেছে।

Advertisement

এইচএসসি ও সমমানের মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রের চেয়ে ছাত্রী সংখ্যা বেশি। মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৪৯৬ জন, বাকি ছয় লাখ ৮৭ হাজার ৯ জন ছাত্রী। এর মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৭৪৭। মাদরাসা বোর্ডের পরীক্ষার্থী ৮৮ হাজার ৪৫১, কারিগরি বোর্ডে এক লাখ ২৪ হাজার ২৬৪ এবং ডিআইবিএস পরীক্ষার্থী ৪৩ জন।

এবার পরীক্ষা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে কোচিং সেন্টার বন্ধসহ ২২ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নফাঁসের গুজবে কান না দিতে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

পরীক্ষার সময়সূচি ১ এপ্রিল থেকে ১১ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে লিখিত পরীক্ষা। ১২ থেকে ২১ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা হবে। এবার দুই হাজার ৫৭৯টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী দ্বাদশ শ্রেণির এই চূড়ান্ত পরীক্ষা দেবে। গতবারের চেয়ে এবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেড়েছে ১১৮টি, কেন্দ্র বেড়েছে ৩৮টি। ঢাকার বাইরে এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্রে ২৭৫ শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে, এর মধ্যে ১২৭ জন ছাত্র, ১৪৮ জন ছাত্রী।

Advertisement

এবার এইচএসসি সমমানের মোট ৫১টি বিষয়ে ১০১টি পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিভিন্ন সিলেবাসে পত্রের সংখ্যা ১৫১টি। সারাদেশে মোট দুই হাজার ৫৮০টি কেন্দ্রের প্রায় ৪০ হাজার কক্ষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ শিক্ষক পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। পরীক্ষা নিতে বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য মোট তিন হাজার ৯৩২ ধরনের প্রশ্ন ছাপা হয়েছে।

অন্যান্যবারের মতো এবারও পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করে নির্ধারিত আসনে বসতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে রেজিস্ট্রারে নাম, ক্রমিক নম্বর ও দেরির কারণ উল্লেখ করতে হবে। দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে পাঠাবেন। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবে না।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমন একটি ফোন ব্যবহার করবেন, যা দিয়ে ছবি তোলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় না। ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-শিক্ষক-কর্মচারীরাও কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রশ্নপত্র বহনের কাজে কালো কাচের মাইক্রোবাস বা এ ধরনের কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। কোন সেটের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া হবে তার কোড পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে জানিয়ে দেয়া হবে।

এছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রে ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারীদের মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলমসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। ট্রেজারি বা থানা থেকে প্রশ্ন কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য দূরত্ব অনুযায়ী বেশি সময় আগে প্রশ্ন বিতরণ না করে প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করে প্রশ্নপত্র বিতরণ করতে হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রের অভ্যন্তরে একটি ফটোকপি মেশিন রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বোর্ড কর্তৃপক্ষ প্রত্যেক কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা প্রদান করেছে।

Advertisement

যদি কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অংকের টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। অনিবার্য কারণে পরীক্ষা শুরু করতে বিলম্ব হলে প্রশ্নে উল্লিখিত নির্ধারিত সময় শিক্ষার্থীদের দিতে বলা হয়েছে।

এমএইচএম/বিএ/জেআইএম