জাতীয়করণের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনে নেমেছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা। শনিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে তারা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। এছাড়া দাবি আদায়ে রোববার (৩১ মার্চ) থেকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদশে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।
Advertisement
বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক সমিতির মহাসচিব কাজী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাইমারি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত সরকারের শাসনামলে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি হয়ে ২০১৩ সালে ২৬ হাজারের বেশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলো পরিচালিত হচ্ছে। পঞ্চম শ্রেণির সমাপনীর মতো ইবতেদায়ী পরীক্ষায় আমাদের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করছে। অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা বেতন পেলেও ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা সেই হারে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ দাবিতে দীর্ঘ দিন আন্দোলন করলেও আশ্বাস দেয়া ছাড়া আর কিছু মেলেনি।
মহাসচিব আরও জানান, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে রোজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে জাতীয়করণের দাবিতে আমরা অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছি। সারাদেশের ১৮ হাজার ১৯৪টি স্বতন্ত্র মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা ঢাকায় রওনা হয়েছেন। সকলের উপস্থিতিতে আগামীকাল (৩১ মার্চ, রোববার) থেকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, আন্দোলনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্বারকলিপি প্রদান করা হবে। এতেও সাড়া না পাওয়া গেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করা হবে।
Advertisement
আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষকরা জানান, সারাদেশে মাত্র ১ হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকরা সর্বসাকুল্যে প্রধান শিক্ষক ২৫০০ টাকা, সহকারী শিক্ষক ২৩০০ টাকা ভাতা পায়, বাকি প্রায় ৮ হাজার ৫০০ মাদরাসার শিক্ষকরা প্রায় ৩৪ বছর যাবৎ বেতন-ভাতা পায় না। এ কারণে সকল শিক্ষকদের অনাহারে দিন পার করতে হচ্ছে।
তারা আরও বলেন, প্রাথমিকের ন্যায় সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাকে জাতীয়করণের দাবিতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে বসে কঠোর কর্মসূচি পালন করব।
এমএইচএম/আরএস/এমএস
Advertisement