চলতি বছর হজে গমনেচ্ছুদের নিবন্ধনের জন্য চতুর্থ দফায় সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুরা আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন।
Advertisement
এদিকে শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার হজ গমনেচ্ছু নিবন্ধিত হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ছয় হাজার ২২২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৪ হাজার ৩৮০ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এখনও এক লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী নিবন্ধনের জন্য অপেক্ষমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আবদুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গমনের কোটা এখনও খালি আছে। ‘আগে আসলে, আগে প্রাক-নিবন্ধন’ ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের সময়সীমা ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো।
তবে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সুবিধার্থে আগামী ৩ এপ্রিলের মধ্যে পাসপোর্ট দাখিল করতে হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকারি ছুটির দিনও পাসপোর্ট দাখিল করা যাবে।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতোপূর্বে আহ্বান করা প্রকৃত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে যারা কোনো কারণে নিবন্ধন করতে পারেননি তাদের মধ্যে ২০১৯ সালে হজ পালনে আগ্রহী ব্যক্তিবর্গকে পরিচালক, ঢাকা অফিস বরাবর লিখিত আবেদন, ই-মেইল বা ফোন করে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের নিবন্ধন সংক্রান্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৯ সালে হজে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের নিবন্ধনের জন্য প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক চার লাখ ৭৯ হাজার ৮১৫ পর্যন্ত ব্যক্তিদের নিবন্ধনের সময় ইতোমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় হজ ও ওমরা নীতি অনুযায়ী প্রাক-নিবন্ধনের পরবর্তী ক্রমিক চার লাখ ৭৯ হাজার ৮১৬ থেকে পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৮৩২ পর্যন্ত প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিগণকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন করার জন্য আহ্বান করা হলো। তবে যথাসময়ে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে সুবিধার্থে আগামী দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দাখিল করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকারি ছুটির দিনেও পাসপোর্ট দাখিল করা যাবে।
Advertisement
এমইউ/এমএআর/পিআর