রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে আগ্নিকাণ্ডে নিহত আমির হোসেন রাব্বির (৩০) মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে চরপাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে তাকে চরপাড়া গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় এলাকার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেন।
Advertisement
এর আগে সকালে রাব্বির মরদেহ আতাইকুলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে পৌঁছায়। এ সময় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার বাবা আয়ুব হোসেন ও মা রত্না খাতুন বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। নিহত আমির হোসেন রাব্বি বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে সন্তান। তার আরও দুই বোন রয়েছে। তিনি পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স সম্পন্ন করে বনানীর ওই ভবনে ১১ তলায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গত ৩ বছর চাকরি করতেন। খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকায় থাকতেন রাব্বি। নিহতের পরিবারের লোকজন জানান, রাব্বির বন্ধু গিয়াস উদ্দিন মর্গে তার মরদেহ শনাক্ত করেন। শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় রাব্বির মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম, আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত হন। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারকে সান্তনা দেন।
পাবনার জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাঁথিয়ার ইউএনওকে সেখানে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
আতাইকুলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম জানান, রাব্বির অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Advertisement
একে জামান/আরএআর/এমকেএইচ