সৌদি এয়ারলাইন্সের চার শতাধিক যাত্রী মঙ্গলবার রাত থেকে ঢাকায় আটকা পড়েছেন।
Advertisement
ফ্লাইটের যাত্রীদের উত্তরার বিভিন্ন হোটেলে রাখা হয়েছে। ঘটনার দুইদিন পার হচ্ছে। কিন্তু সৌদি এয়ারলাইন্সের কোনো খবর নেই। এমতাবস্থায় সৌদি এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে মামলা করার চিন্তা করছেন যাত্রীরা।
অন্যদিকে ওয়ার্ক পারমিটের কিছু যাত্রী আছেন যাদের ভিসার মেয়াদ আজ-কালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এসব বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না সৌদি এয়ারলাইন্স। নিয়মিত ফ্লাইট অব্যাহত রেখে মঙ্গলবারের এসবি-৩২৫৩ ফ্লাইটের যাত্রা কেন বন্ধ রাখা হলো- এ বিষয় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি সৌদি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।
সৌদি এয়ারলাইন্সের এসবি-৩২৫৩ এর আটকে পড়া যাত্রীদের কজন মাহাদি, হোসাইন ও আহমেদ। বৃহস্পতিবার সকালে মোবাইল ফোনে তারা জাগো নিউজকে জানান, তারা (সৌদি এয়ারলাইন্স) আমাদের মানুষ মনে করলে এমন অমানবিক আচরণ করতে পারত না। অন্য কোনো এয়ারলাইন্স বা ভিন্ন কোনো দেশের যাত্রী হলে এমনটি করতে পারত কি না সন্দেহ।
Advertisement
মঙ্গলবার রাত ১২টা ৫ মিনিটে চার শতাধিক যাত্রী বহন করা ফ্লাইটটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।
এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর রাত পৌনে ২টার দিকে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানিয়ে ঢাকায় অবতরণ করে ফ্লাইটটি। ভোররাত ৪টার দিকে যাত্রীদের উত্তরা বিভিন্ন সেক্টরে কয়েকটি আবাসিক হোটেলে রাখা হয়।
হোটেলে উঠানোর সময় যাত্রীদের বলা হয়, জেদ্দা থেকে আরেকটি এয়ারক্রাফট এসে তাদের নিয়ে যাবে। আটকে পড়া যাত্রীদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে এরপর সৌদি এয়ারলাইন্সের আর কোনো প্রতিনিধি যোগাযোগ করেননি। এমন অবস্থায় তারা বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গিয়ে সৌদি এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে মামলা করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছেন না।
আরএম/জেডএ/জেআইএম
Advertisement