আন্তর্জাতিক

ক্রাইস্টচার্চ হামলায় আরেক সন্দেহভাজনের সন্ধান

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত এক সন্দেহভাজন ব্যক্তি পুলিশি তল্লাশির মুখে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার ক্রাইস্টচার্চের কেন্দ্রস্থলে পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদের সময় আত্মহত্যা করেন তিনি।

Advertisement

গত ১৫ মার্চ শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল নুর ও লিনউড মসজিদে শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ট্যারান্টের নির্বিচার গুলিবর্ষণে ৫০ মুসল্লি নিহত হন। তাকে আটক করলেও এখন পর্যন্ত ভয়াবহ সেই হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় কারো জড়িত থাকার প্রমাণ পায়নি পুলিশ।

তবে মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে রাশিয়ার সাবেক সেনা ৫৪ বছর বয়সী ত্রয় দুভোস্কির বাসভবন অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তিনি বাসভবনে না থাকলেও সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে বেশিরভাগ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র।

আরও পড়ুন>> ইসলাম গ্রহণ করলেন নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড়

Advertisement

অভিযানের পর মধ্যরাতের ক্রাইস্টচার্চের কেন্দ্রস্থলের একটি সড়কে দুভোস্কির সন্ধান পায় পুলিশ। দুভোস্কির গাড়িকে চ্যালেঞ্জ করে তারা। এ সময় তিনি গাড়িতে বসেই পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন।

নিউজিল্যান্ডের পুলিশ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে তার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। কিন্তু দুভোস্কি আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকৃতি জানান। পুলিশ এক পর্যায়ে তার গাড়ি লক্ষ্য করে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি তিনি।

আরও পড়ুন>> লজ্জা ভেঙে জুমার নামাজে রাগবি খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামস

বুধবার ভোররাতে পুলিশ দুভোস্কি ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয় তার। দুভোস্কির গাড়িতে একটি ছুরি ছাড়া আর কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি।

Advertisement

নিউজিল্যান্ড পুলিশ বলেছে, নিহত ব্যক্তি সমাজের জন্য হুমকি ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ বলছে, ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে হামলার তদন্তের উল্লেখযোগ্য অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে এটিকে।

ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলার ঘটনায় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর উদাসীনতা দায়ী ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এসএ/পিআর