নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেছেন, আসন্ন চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার ক্ষেত্রে যদি কেউ ব্যর্থ হন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ করে দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে খবর দেবেন। নির্বাচন কমিশন ওই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবে। সুষ্ঠু ভোট না হলে সেই কেন্দ্রে কোনো প্রকার ভোটগ্রহণের চেষ্টা করবেন না। কাউকে কোনো ধরনের অবৈধ সুযোগ দেবেন না।
Advertisement
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন আপনাদের কাছে ভোটে দাঁড়ানো প্রার্থীদের পরিচয় শুধুই প্রার্থী, অন্য কিছু নয়। আমরা লক্ষ্য করেছি স্থানীয়ভাবে অনেক জায়গায় প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা প্রভাবিত হয়ে কারও কারও পক্ষে কাজ করেন। এ ধরনের কাজ যদি কেউ করেন তাহলে কমিশন ক্ষমা করবে না। এ ধরনের অপরাধে কমিশনের বিশেষ আইন আছে, এমনকি আমরা ফৌজদারি আইনেও যাব। কমিশনের অর্পিত দায়িত্ব পালনে যদি কেউ বিচ্যুত হন তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।
বুধবার বিকেলে বাগেরহাট শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজে অনুষ্ঠিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কবিতা খানম বলেন, চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে ব্যালটে ছাপ দেয়ার অভিযোগে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। কাজেই আইনের বাইরে গিয়ে কোনো ধরনের কাজ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। তাতে তিনি যে পদ মর্যাদার কর্মকতা হোন না কেন। তাই ভোটগ্রহণে কোনো অনিয়ম করবেন না। অনিয়ম করলে ছাড় পাবেন না।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, কারও প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করবেন না। যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসে তাহলে নির্বাচন কমিশন তদন্ত করবে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন- বাগেরহাটের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. জহিরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুস আলী ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ প্রমুখ।
শওকত আলী বাবু/এএম/পিআর
Advertisement