রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে জাতিসংঘ আন্তরিক উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছেন স্থানীয় অধিবাসী। তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে জাতিসংঘ। আশ্রিতদের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্থানীয়রা যেন স্বাভাবিক জীবন অতিবাহিত করতে পারে সে লক্ষ্য নিয়েই সবার কাজ করা উচিত।
Advertisement
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা।
তিনদিনের সফরের শেষ দিনে বুধবার সাক্ষাৎকালে উভয়ের মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনা, রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এ সময় ২৫ মার্চ বাংলাদেশের গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদামা দিয়েংকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং সোমবার কক্সবাজার আসেন।
কক্সবাজার অবস্থানকালে আদামা দিয়েং সোমবার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম (অতিরিক্ত সচিব), কক্সবাজার ও শরণার্থী ক্যাম্পে কর্মরত জাতিসংঘের অফিসগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। মঙ্গলবার তিনি উখিয়ার কুতুপালংয়ে শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন, শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
Advertisement
জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইসসিআর কক্সবাজার সাব অফিসের কর্মকর্তা ইফতেখার উদ্দিন বায়েজীদ, আইএমও, ডাব্লিউএফপি, ইউএনডিপির কক্সবাজারস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিকেলে বিমানযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/এমএস
Advertisement