আগের ম্যাচে পানামার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র। ৭৮ বছর পর ব্রাজিলকে রুখে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল মধ্য আমেরিকার দেশটি। সেই ধাক্কা সামলাতে অবশ্য বেশি সময় লাগেনি ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। এবার প্রাগে গিয়ে স্বাগতিক চেক প্রজাতন্ত্রকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে এসেছে তিতের শিষ্যরা।
Advertisement
তবে প্রাগের সাইনট টিপ এরেনায় কিন্তু প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ব্রাজিল। ডেভিড পাভেলকার গোলে ৩৭ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে সেলেসাওরা। দ্বিতীয়ার্ধেই স্বরূপে জ্বলে ওঠে ব্রাজিলিয়ানরা। শুরুতেই রবার্তো ফিরমিনো এবং এরপর গ্যাব্রিয়েল হেসুস। এই দুই তরুণ তুর্কির তিন গোলে শেষ পর্যন্ত ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লাতিন আমেরিকার দেশটি। জোড়া গোল করেন বদলি খেলোয়াড় হেসুস।
আগামী জুনে কোপা আমেরিকার আগে এটা ছিল ব্রাজিলের প্রস্তুতি কিংবা প্রীতি- যাই বলি না কেন, শেষ ম্যাচ। সুতরাং, ইউরোপিয়ান শক্তিধর দেশটির বিপক্ষে দুর্দান্ত এই জয় ব্রাজিলকে দারুণ এক আত্মবিশ্বাস এনে দেবে, নিশ্চিত।
ম্যাচের শুরু থেকে অবশ্য কিছুটা আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে চেক প্রজাতন্ত্র। যার ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে গোলের সূচনা করে স্বাগতিকরা। এ সময় ব্রাজিলের জালে বল জড়ান ডেভিড পাভেলকা। প্রথমার্ধ শেষ হয় স্বাগতিকদের ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে।
Advertisement
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরই বদলে যায় ব্রাজিলের চেহারা। নেইমার না থাকলেও এই দলটি যে সত্যিকার ব্রাজিলে রূপ নিতে পারে তা দেখিয়ে দিলেন ফিরমিনো, হেসুসরা। মূলতঃ গ্যাব্রিয়েল হেসুস নামার পরই দুরন্ত হয়ে ওঠে ব্রাজিল। ফিলিপ কৌতিনহোর পরিবর্তে ম্যাচের ৭২ মিনিটে মাঠে নামেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই চেক রিপাবলিকের রক্ষণের ভুলে, ফিরমিনোর গোলে সমতায় ফেরে ব্রাজিল। এরপর আর চেক রিপাবলিককে চড়াও হতে দেয়নি তিতের শিষ্যরা। বল দখলে এগিয়ে থেকে ম্যাচের শেষ দিকে এসে ব্যবধান বাড়ান হেসুস। ৮৩তম মিনিটে তার গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে স্বাগতিকদের পরাজয়েল কফিনে শেষ পেরেক মেরে দেন ব্রাজিলের এই তরুণ তুর্কি। এলানোর বাড়ানো বল দুইবারের চেষ্টায় চেক প্রজাতন্ত্রের জালে বল জড়ান হেসুস।
আইএইচএস/জেআইএম
Advertisement