তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ভোটার না থাকায় ভোটকেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।
Advertisement
উপজেলার এমসিএম হাই স্কুল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার না থাকায় দুই আনসার সদস্য মোবাইল ফোনে গেম খেলছেন। এখানে ভোটার সংখ্যা তিন হাজার ২০০ জন। এর মধ্যে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ২০০ ভোট কাস্ট হয়েছে।
কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ কেন্দ্রে ভোটার এক হাজার ৮৫৯ জন। বেলা ২টা পর্যন্ত ৩০০ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন বলে জানান কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আব্দুল মতিন।
কালীগঞ্জ আরআরএন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং অফিসার মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, আমাদের এই কেন্দ্রে দুই হাজার ৪৭ জন ভোটারের মধ্যে আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম।
Advertisement
বালীগাঁও সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার লিটন আহমেদ বলেন, এখানে দুই হাজার ৭৪৬ জন ভোটারের মধ্যে বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। বুঝতেই পারছেন ভোটার উপস্থিতি কেমন।
বালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. লতিফুর রহমান বলেন, এই কেন্দে ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ৬৯৩ জন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৩০০ ভোট পড়েছে। ভোটার উপস্থিতি ভালো নয়।
বালীগাঁও সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের ভোটার গোলাম কিবরিয়া বিপু জানান, তিনি শান্তিপূর্ণভাবে সুন্দর পরিবেশে ভোট প্রয়োগ করেছেন। কোনো ধরনের অনিয়ম চোখে পড়েনি তার।
একই কেন্দ্রের ভোটার শওকত আকবর কনক বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। বিকেলে ভোটার উপস্থিতি বাড়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাড়েনি। কি জন্য ভোটাররা কেন্দ্রে আসছেন না তা আমার জানা নেই।
Advertisement
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ফারিজা নূর বলেন, এই উপজেলায় ৯০টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে মোট দুই লাখ ১৪ হাজার ৩৬০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এসব কেন্দ্রে ৯০ জন প্রিসাইডিং, ৫৩৮ জন সহকারী প্রিসাইডিং ও ১০৭৬ জন পোলিং অফিসার ভোটগ্রহণ করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাকসুদুল আলম খান মাসুদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে শুধু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী শর্মিলা রোজারিও (ফুটবল) এবং শর্মিলী দাস মিলি (কলস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আব্দুর রহমান আরমান/এএম/পিআর